১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিজস্ব ভেন্যু নেই, তবুও দেড় ডজন পদক

-

এবারের এসএ গেমসে কারাতের ১৯টি ইভেন্টে অংশ নেয় ২৩ সদস্যের বাংলাদেশ কারাতে দল। ১৯টি ইভেন্টের মধ্যে ১৮টিতে পদক জিতে এসএ গেমস মিশন শেষ করেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে ৩টি করে স্বর্ণ ও রৌপ্য এবং ১২ টি ব্রোঞ্জ। মজার ব্যাপার হলো তাদের নেই কোন নিজস্ব ভেন্যু। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বারোয়াড়ি ভেন্যুতেই তারা অনুশীলন করেন।

এই ডিসিপ্লিনে ব্যক্তিগত কুমিতে অনুর্ধ্ব-৬০ কেজিতে বাংলাদেশকে প্রথম স্বর্ণ এনে দিয়েছেন মো. গোলাম মোস্তফা। এরপর মেয়েদের ব্যক্তিগত কুমির অনূর্ধ্ব- ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জিতেন মারজানা আক্তার প্রিয়া। আর ব্যক্তিগত কুমির অনূর্ধ্ব-৬১ কেজিতে স্বর্ণ জিতেন হুমায়রা আক্তার অন্তরা। তার একটি ব্রোঞ্জপদকও রয়েছে। যেটি এবারের গেমসে এসেছিল বাংলাদেশের প্রথম পদক হয়ে।

তিনটি রৌপ্যর দুটি এসেছিল এসএ গেমসের দ্বিতীয় দিনে। সেদিন ছেলেদের অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে রৌপ্য জিতেন মো. গোলাম মোস্তফা। আর মেয়েদের কুমির অনূর্ধ্ব-৫০ কেজি ওজন শ্রেণিতে রৌপ্য জিতেন মাউনজেরা বন্যা।

বুধবার কারাতে ডিসিপ্লিনের শেষ দিনে বাংলাদেশ নারী দলগত কুমিতে রৌপ্য পায়। বাংলাদেশের মারজানা আক্তার প্রিয়া আহত হয়ে ম্যাট ছাড়ার পরও বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠে। সেখানে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের অন্তরা, বন্যা ও নাইমা হেরে যান ৬-৪, ৭-৩ ও ১৪-১৪ পয়েন্টের ব্যবধানে।

দিন শেষে কারাতেতে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সোনা জেতা আল-আমিন বলেন,‘আরো একটু ভালো হতে পারত। তারপরও যা হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। কিছু ঝামেলা হয়েছে। সেটা আপানারা দেখেছেন। সেগুলো না হলে হয়তো আরো দুই-একটা গোল্ড আসতে পারত। আজও আমরা দুটো গোল্ড পেতে পারতাম; কিন্তু ইনজুরির কারণে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে সোনা হাতছাড়া হয়। আর ছেলেদের দলগত ইভেন্টে আমি ও রমজান ভাই ভালো খেলেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে উঠিনি। তারপরও বলব ১৮টি পদক কিন্তু কম নয়।’

বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবু ক্য শৈ হ্লা বলেন, ‘আজ দুটো সোনা জিততে পারলে ভালো লাগত। কী হয়েছে সবকিছুই তো দেখেছেন। আমাদের সোনার সংখ্যা আরো বাড়তে পারত। তারপরও ৩টি সোনা জিতেছি, রূপা জিতেছি ৩টি, ব্রোঞ্জ ১২টি। যা হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট আমরা।’

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement