২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শক্তিশালী বিরোধী পক্ষের অনুপস্থিতিতেই উজবেকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত

শওকত মির্জিয়ায়েভ - ছবি : এএফপি

উজবেকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচনে রোববার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটিকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সংস্কারমূলক কার্যক্রম যখন অব্যাহত রয়েছে ঠিক এমনই একটি মুহূর্তে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। মধ্য এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টা এ কার্যক্রম চলে।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই দেশটির একমাত্র শাসক ছিলেন ইসলাম করিমভ। ২০১৬ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর শওকত মির্জিয়ায়েভ নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটির শাসনভার তুলে নেন। তিনি শাসন ক্ষমতা হতে নেয়ার পরেই উজবেকিস্তানের অর্থনীতির ব্যাপক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন।

প্রেসিডেন্ট শওকত মির্জিয়ায়েভের শাসনামলে মিডিয়া এবং বাকস্বাধীনতার পাশাপাশি বাইরের বিশ্বের সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করা হয়েছিল। এছাড়া মির্জিয়ায়েভ ৫০ জনেরও বেশি রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছেন। পরিবর্তনের অংশ হিসেবে একটি নতুন নির্বাচনী ধারা কার্যকর করেছেন শওকত, যে ধারা মোতাবেক দলীয় প্রার্থিতার ৩০ শতাংশ নারী হতে হবে। ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ভোটদানের সীমাবদ্ধতাও প্রত্যাহার করেছেন তিনি।

নির্বাচনী প্রচারে দেখা গেছে, প্রথমবারের মতো সাংবাদিক এবং ব্লগারদের পাশাপাশি মুক্ত গণমাধ্যমও সক্রিয়ভাবে ভোটের প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করেছে।

এসব পরিবর্তন সত্ত্বেও, নতুন নির্বাচন আইন রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে ব্যর্থ বলেই মনে হচ্ছে। নতুন দল গঠনের জন্য ২০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা অতিক্রম করা অসম্ভব বলে প্রমাণিত হয়েছে, কারণ ২০০৩ সাল থেকে দেশে কোনও নতুন দল নিবন্ধিত হয়নি এবং বিদ্যমান পাঁচটি দলই এই ব্যবস্থার অংশ হিসাবে রয়ে গেছে।

যারা রাজনীতি সম্পর্কে অবগত তাদের মধ্যে অনেকেই ভোট দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাদের বেশিরভাগের বিশ্বাস, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কোনও পরিবর্তন আসবে না।

উজবেক বিশ্লেষক আহমাদ রহমানভ আল জাজিরাকে বলেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম এমন কোনো নেতৃত্বকে জনগণ খুঁজে পাচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট কর্তৃক সবকিছুই নির্ধারণ করা হচ্ছে। করিমভের অধীনে যেমনটি ছিল এখনও তেমনটিই রয়েছে। জনগণ এই বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত।

লোকেরা ঐতিহ্যগতভাবে মহল্লার নেতাদের বা স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাঠামোর সুপারিশ অনুসরণ করে ভোট দিয়েছে। অতীতে, পরিবারের প্রধানই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পক্ষে স্থানীয় সম্প্রদায়ের দ্বারা প্রস্তাবিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিয়ে দিতেন।

স্বৈরশাসন আমলে এই জাতীয় ভোটদানের ধারণা প্রচলিত ছিলো। যদিও উজবেকিস্তান গত তিন বছরে অনেক বেশি স্বাধীন হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষেবা এখন অনেক শক্তিশালী, বিচার বিভাগ কদাচিৎ স্বাধীন এবং রাজনৈতিকভাবে বিপরীত ভাবনার অভিযোগে বহু মানুষ কারাগারে রয়েছেন।

রহমানভ বলেন, হতে পারে একদিন লোকেরা তাদের রাজনৈতিক অধিকারের জন্য লড়াই করবে, তবে তা খুব শিগগিরই হতে যাচ্ছে না। বিষয়টি অর্থনৈতিক বৈষম্যের সাথেও সম্পর্কিত। একটি ক্ষুধার্ত ব্যক্তি রাজনীতি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করবে না এবং রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য নিজের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না। এটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর জন্য চরম মূল দিতে হয়।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি : মিশা সভাপতি, ডিপজল সম্পাদক ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল