মিয়ানমারের যুক্তি উপস্থাপন শুরু
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:৩৫, আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:১৭
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি বুধবার নেদাল্যান্ডের হেগ শহরের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে নিজ দেশের পক্ষে আজ যুক্তি উপস্থাপন করেন।
গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার মামলার শুনানি। প্রথম দিনে বক্তব্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে বাদি পক্ষ আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর তাদের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পল এস রাইখলার আইনজীবীদের মধ্যে শুরুতেই তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। গণহত্যার বিভিন্ন আলামত উপস্থাপন করেন তিনি। এছাড়াও গাম্বিয়ার পক্ষে আদালতে বক্তব্য দেন ব্রিটেনের প্রফেসর ফিলিপ স্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী তাফাদজ পাসিপান্দো, প্রফেসর পায়াম আখাভান, অ্যান্ড্রু লোয়েনস্টেইন, ও আরসালান সুলেমান।
অন্য দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আছেন অং সান সু চি। আইনি দলের প্রধান হিসেবে যুক্ত হয়েছেন গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক আইনে বিশেষজ্ঞ কানাডার মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী অধ্যাপক উইলিয়াম সাবাস। মিয়ানমারের অ্যাটর্নি জেনারেল তুন তুন ও, দুই জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক দুই আইনজীবী যুক্ত আছেন মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলে।
বুধবার আসামী পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপনের পালা। ধারণা করা হচ্ছে একই রকমভাবে সু চির সূচনা বক্তব্যের পর তাদের আইনজীবীরা যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করবেন। একই সাথে তারা গণহত্যার বিষয়ে গাম্বিয়ার আইনজীবীদের উপস্থাপিত যুক্তিগুলো খণ্ডনের চেষ্টা করবেন।
আল জাজিরা লিখেছে, সু চি কিভাবে তার দেশকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি। তিনি ও তার তার আইনজীবী দল এই বিচারের ত্রুটিগুলো তুলে ধরে কোন গণহত্যা হয়নি সেটি বোঝাতে চেষ্টা করবেন।
বৃহস্পতিবার শুনানির শেষ দিকে সকালে গাম্বিয়া মিয়ানমারের যুক্তি খন্ডন করবে আর বিকেলে একই কাজ করবে মিয়ানমার।
এরপর বিষয়টি চলে যাবে ১৭ সদস্যের বিচারক প্যানেলের কাছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা