২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

৯/১১ বার্ষিকীতে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলা

৯/১১ বার্ষিকীতে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলা - ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের সামনে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে রকেট হামলা হয়েছে। আমেরিকায় ৯/১১ হামলার সেই বার্ষিকীতেই মার্কিন দূতাবাসকে টার্গেট করা হয়। মধ্য রাতের পরপরই বিস্ফোরণটি ঘটে। এরপরপরই পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। প্রাণহানির খবরও মেলেনি।

সূত্রের খবর, বুধবার ভোররাতে কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের সামনে জোরালো বিস্ফোরণে শব্দ শোনা যায়। দূতাবাস চত্বর ঢেকে যায় ধোঁয়ায়। মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মী ফোনে বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে, তিনিও বিশদ কিছু জানাতে পারেননি। সরকারিভাবেও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর জানানো হয়নি।

কাবুলে ফের আইইডি বিস্ফোরণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বন্ধ করে দেয়ার পর, কাবুলে এটাই প্রথম বড় হামলা। যদিও, লাগাতার ছোটখাটো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছে তালিবান সদস্যরা। যার জেরে তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ট্রাম্প।

গত সপ্তাহেই দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কাবুলে বেশ কয়েকজন সাধারাণ নাগরিক নিহত হন। হামলায় নিহত হন ন্যাটোর দুই মার্কিন সৈন্যও। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র-তালিবান আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধীরে ধীরে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু, গত সপ্তাহে তালিবান হামলার পরেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কাবুলে ফের আইইডি বিস্ফোরণ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় হামলায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয় টুইন টাওয়ার। এই হামলায় ২,৯৯৭ জন নিহত হন। ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন। ধ্বংস হয় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের টুইন টাওয়ার, যা নিয়ে আমেরিকার গর্ব ছিল। এ ঘটনার জন্য বরাবরই আল-কায়দাকে দোষারোপ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার মাস্টারমাইন্ড ওসামা-বিন-লাদেন। এই দিনটি যে কারণে আমেরিকার নাগরিকদের কাছে অন্তত সংবেদনশীল।

তার পর থেকে বিগত আঠারো বছর ধরে আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন হানায় ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা কমিয়ে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানে ১৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এই ১৪ হাজার মার্কিন সেনাও সরিয়ে নেয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার অংশ হিসেবেই তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল