২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঠেকাতে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি চীনের

তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঠেকাতে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি চীনের - ছবি : সংগৃহীত

তাইওয়ানকে স্বাধীন করতে কেউ যদি কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বেইজিং প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে অভিযোগ করে গতকাল বুধবার এর তীব্র নিন্দা করেছেন চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 
চলতি মাসেই ঘনিষ্ঠ মিত্র তাইওয়ানের অনুরোধ সাড়া দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বীপ দেশটিতে ট্যাংক ও স্টিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্রসহ আনুমানিক ২২০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং এ অস্ত্র বিক্রির সাথে জড়িত মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।

গতকাল বুধবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান বলেছেন, তার দেশ তাইওয়ানের সাথে শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চীনের সামরিক কৌশলগত উদ্বেগের রূপরেখা নিয়ে প্রকাশিত একটি জাতীয় প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্র নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা প্রত্যাশা যে একে শেষ সীমানায় পৌঁছে দেবে তা আমরা দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করতে চাই।’ গত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই প্রথম এ ধরনের শ্বেতপত্র।

বলেছেন উ কিয়ান বলেন, ‘যদি কেউ তাইওয়ানকে এ দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার দুঃসাহস দেখায়, চীনের সেনাবাহিনী জাতীয় সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সুরক্ষায় তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত।’ তাইওয়ানকে চীনের একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে বেইজিং; প্রয়োজনে স্বশাসিত এ দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ডভুক্ত করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়ে রেখেছে তারা। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত তাইওয়ানের সাথে ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকলেও দ্বীপটির সুরক্ষায় পাশে থাকার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে তাদের।

তাইওয়ানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার প্রকাশিত চীনের প্রতিরক্ষা সংক্রান্তওই নতুন নথিতে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতায়’ উসকানি দেয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স


আরো সংবাদ



premium cement