২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

থাই রাজার চতুর্থ বিয়ে, চমকে উঠলেও মুখ খুলছেন না কেউ

থাই রাজার চতুর্থ বিয়ে, চমকে উঠলেও মুখ খুলছেন না কেউ - সংগৃহীত

দেহরক্ষী বাহিনীর প্রাক্তন উপপ্রধান সুথিদা তিজাইকে বিয়ে করলেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালঙ্গকর্ন। এটি তার চতুর্থ বিয়ে। থাইল্যান্ডের রাজপরিবার সূত্রে বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে এই ছবি এএফপি

শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসার কথা তার। থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালঙ্গকর্ন তার আগেই চতুর্থ বিয়েটা সেরে ফেললেন। বৃহস্পতিবার রাজপ্রাসাদে এক আদ্যন্ত ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বছর চল্লিশের সুথিদা তিজাইকে বিয়ে করেন ৬৬ বছরের রাজা। থাইল্যান্ডের নতুন রানি এর আগে রাজার দেহরক্ষী বাহিনীর প্রধান ছিলেন।

২০১৬ সালে মারা যান ভাজিরালঙ্গকর্নের বাবা রাজা ভুমিবল অদুল্যদেজ। প্রায় ৭০ বছর ধরে থাইল্যান্ডের রাজা ছিলেন অদুল্যদেজ। তার মৃত্যুর পরে দীর্ঘদিন ধরে শোকপালন করা হয় গোটা দেশে। ভাজিরলঙ্গকর্ন এত দিন ধরে দেশের সাংবিধানিক রাজার দায়িত্ব পালন করলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তার সিংহাসনে আরোহণ করা হয়নি। শনিবার সেই অনুষ্ঠানই হওয়ার কথা রাজপ্রাসাদে। নববধূকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ মতে নানা আচার পালন করার কথা তার।

তাই টিভি চ্যানেলে বিয়ের কিছু অনুষ্ঠানের ছবি দেখানো হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে হাল্কা গোলাপি রঙা পা ঢাকা সিল্কের পোশাকে বিয়ের নানা আচার অনুসরণ করছেন নতুন রানি। রাজাকে তিনি ট্রে-তে করে ফুল আর সুগন্ধী ধূপকাঠি উপহার দিচ্ছেন। নতুন রানিকে রাজা রাজপরিবারের নানা ঐতিহ্যশালী জিনিস উপহার দেন। সাদা পোশাক পরা রাজার পাশে এক সময়ে হাসি মুখে বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে নতুন রানিকে।

রাজার বাহিনীতে যোগ দেয়ার আগে থাই এয়ারওয়েজে বিমানবালার কাজ করতেন রানি সুথিদা। অনেকেই মনে করেন বিমানেই নতুন রানির সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়েছিল রাজার। তার পরে প্রেম। এর আগে তিনজন স্ত্রী ছিল থাই রাজার। রয়েছে সাত সন্তানও। শেষ বার ২০১৪ সালে বিচ্ছেদ হয় তার। রাজার সঙ্গে আলাপ ও বন্ধুত্বের পরে বিমানবালার কাজ ছেড়ে দেন সুথিদা। ২০১৩ সালে রাজপরিবারের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। নিরাপত্তা বাহিনীর উপ-প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন এত দিন। সেনাবাহিনীর প্রধান রাজা নিজেই।

টিভি চ্যানেলে বিয়ের ছবি আর খবর দেখে প্রায় চমকে উঠেছেন দেশের মানুষ। রাজা যে সিংহাসন আরোহণের আগেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন, ঘূর্ণাক্ষরেও তা টের পাননি কেউই। তবে চমকে উঠলেও মুখ খুলছেন না কেউ। কারণ থাইল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী, রানির সমালোচনা বা তাকে উদ্দেশ করে অপমানসূচক মন্তব্য করা যায় না। কেউ সেটা করলে শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে তার।


আরো সংবাদ



premium cement