১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৌদি আরবেও ভয়াবহ হামলা : চার সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত

- ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার হামলা নিয়ে যখন পুরো বিশ্ব হতবাক হয়ে পড়েছে তখন ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চলেছে সৌদি আরবে। তবে শ্রীলঙ্কার মতো তা এতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারেনি। সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অ্যারাব নিউজের খবরে বলা হয়, উত্তর রিয়াদে মেশিন গান, বোমা ও মলোটভ ককটেল নিয়ে হামলার চেষ্টা চালায় কয়েকজন সন্ত্রাসী। পরে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের প্রতিহদ করলে তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন হামলাকারীরা একটি গাড়িযোগে রিয়াদ থেকে ২৫০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত সাধারণ তদন্ত পরিদফতরের প্রধান ফটকে হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর জোর প্রতিরোধের মুখে তারা ভেতরে ঢুকে তাদের হামলা চালাতে সক্ষম হয়নি। বরং উল্টো চার হামলাকারী নিহত হয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহতদের হাতে মেশিন গান, বোমা ও মলোটভ ককটেল ছিল।

আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে হামলাকারীরা নিহত হয়েছেন। এর আগে এ মাসের শুরুতে একটি হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। সেক্ষেত্রেও তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এতে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। আর দুইজনকে জীবিত গ্রেফতার করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের শুরুর দিকে সৌদি আরবে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক বছরে বড় কোনো হামলার কথা শোনা যায়নি।

 

আরো পড়ুন : সৌদিতে এক মুসলিমকে খুনের অভিযোগে দুই ভারতীয়ের শিরশ্ছেদ
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০৭

সৌদি আরবে ভারতীয় একজন মুসলমানকে হত্যার অভিযোগে অন্য দুই ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ দণ্ড কার্যকর করা হলেও গতকাল বুধবারই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, চণ্ডিগড়ের হোশিয়ারপুরের অধিবাসী সতীন্দর কুমার ও লুধিয়ানার হরজিত সিংয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ প্রমাণের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি গলা কেটে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

রিয়াদে থাকা ভারতীয় দূতাবাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘটনার কথা জানায়নি সৌদি প্রশাসন। এমনকি পরিবারের হাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনের লাশও ফেরত দেয়া হয়নি। জানা গেছে, সৌদি আইনের জন্য আটকে দেয়া হয় তাদের লাশ।

জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে কিছু টাকা নিয়ে ইমামুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্ঘাত তৈরি হয় হরজিত ও সতীন্দরের। পরে তাদের হাতেই খুন হয় ইমামুদ্দিন। ঘটনার কয়েকদিন পরই ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর হত্যাকারী দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। উভয়কেই রিয়াদের কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। জেরায় তারা খুনের কথা স্বীকার করে। ২০১৭ সালের ৩১ মে সেই মামলার শুনানি হয়। আদালতেও তাদের সঙ্গে খুনের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়। এরপর সেখানে তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়।

বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের রায় কার্যকর করা হয়। তবে সৌদি নিয়ম অনুযায়ী, তাদের লাশ নিজ দেশের দূতাবাসের হাতে তুলে দেয়া হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement