২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বিস্ফোরণ : ১০দিন আগেই সতর্ক করেছিল পুলিশ

বোমা বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত একটি স্থান - ছবি : সংগৃহীত

ইস্টার সানডের দিনে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টা নাগাদ তিনটি গির্জা ও বিলাসবহুল হোটেলে পর পর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কলম্বো। ইতিমধ্যেই নিহতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরো অনেকে।

কিন্তু এ ঘটনার পেছনে দায়ী কারা এখন পর্যন্ত তা স্পষ্ট হয়নি। তেমনি এ ঘটনায় কারা টার্গেটে ছিল তাও স্পষ্ট করতে পারেনি কেউই। তবে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে সে আশঙ্কার কথা নাকি আগেই জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান।

জানা গেছে, পুলিশপ্রধান পুজুথ জয়সুন্দর শীর্ষ কর্তাদের আত্মঘাতী হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। ১০ দিন আগেই তিনি তার এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল দেশের প্রধান গীর্জাগুলোকে টার্গেট করে আত্মঘাতী হামলা হতে পারে।

এ আশঙ্কার কথা জানানোর পরেও এ ধরনের একটি ঘটনা কেন এড়ানো গেল না, তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

 

আরো পড়ুন : কলম্বোর গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বিস্ফোরণ : নিহত ১৫০
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:০৩

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় পর পর বিস্ফোরণ। তিনটি গির্জা ও হোটেলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘটনায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০০ জন। ঘটনাস্থলগুলো পুলিশ ঘিরে রেখেছে। কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বাসভবনের কাছের একটি হোটেলেও বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শ্রীলঙ্কা মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই দেশ। দেশে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী ক্যাথলিকদের সংখ্যা ছয় শতাংশ মাত্র। ইস্টারের প্রার্থনার কারণেই গির্জায় বেশ ভিড়ই ছিল, তাই এই নির্দিষ্ট সময়টাকেই জঙ্গিরা বেছে নিয়েছে বলে মত শ্রীলঙ্কা পুলিশের।

হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করার কাজ শুরু হয়েছে। কলম্বোর একটি সরকারি হাসপাতালের কর্মী জনান প্রাথমিক ভাবে আটজনের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে প্রায় ৩০০ জনকে ভর্তি করতে হয়।

একটি সূত্রে জানা গিয়েছে শহরের অভিজাত তিনটি হোটেলই বেছে নেয়া হয়েছিল। এছাড়া তিনটি গির্জার মধ্যে দুটি কলম্বো শহরের কিছুটা বাইরে। বিস্ফোরণের ধরন কী তা জানা যায়নি। সেন্ট সেবাস্টিয়ান গির্জার পক্ষ থেকে ফেসবুকে হামলার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে প্রথম বিস্ফোরণটি হয় সেন্ট সেবাস্টিয়ন গির্জায়। তাদের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনাটি ফেসবুকে জানানো হয়েছে। পরে অন্য জায়গা থেকেও বিস্ফোরণের খবর এসে পৌঁছেছে। গ্রান্ড হোটেল এবং আরেকটি হোটেলেও বিস্ফোরণ হয়।

কলম্বোর কোচ্চিকাড়ের অ্যান্টলি গির্জা, কাতুয়াপিতিয়ার সেন্ট সিবেস্টিয়ান গির্জা-সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ শোনা গিয়েছে। সাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ডের মতো বিলাসবহুল হোটেলেও চলে হামলা।


আরো সংবাদ



premium cement