ইন্দোনেশিয়ায় নির্বাচন আজ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৭
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আজ। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ, নিম্নকক্ষসহ প্রাদেশিক পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের বেছে নিতে ১৯ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের ভোট অধিকার প্রয়োগ করছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশটির প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
তবে ভোটের প্রচারণায় অর্থনৈতিক নানা ইস্যুতে প্রার্থীদের সরব থাকতে দেখা গেলেও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ইসলামের উত্থানের পথে বা ইসলাম প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার আয়োজন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ। বহু দ্বীপের দেশটিতে নির্বাচনে প্রার্থীই রয়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের দু’টি পদসহ ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ১৩৬টি আসন এবং নিম্নকক্ষের ৫৭৫টি আসনে ভোটের লড়াই হচ্ছে। একইসাথে ২ হাজার ২০৭ জন প্রাদেশিক সদস্য এবং ১৭ হাজার ৬১০ জন স্থানীয় কাউন্সিলর পদেও ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ১৬টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ১৭ বছর বয়স হলেই ভোটার হওয়ার সুযোগ পান ইন্দোনেশিয়ার মানুষ। এবারের নির্বাচনে ৫০ লাখের মতো তরুণ ভোটার থাকায় তাদের চাওয়া-পাওয়ার প্রতি বাড়তি নজর দিয়ে প্রচারণা চালায় দলগুলো।
১৭ হাজার দ্বীপে ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের সুরক্ষা দিতে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ ও সেনাসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ১৬ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পূর্বদিকে বুধবার সকাল ৭টায় শুরু হয়ে পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলোতে রাত ১টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইনপ্রণেতাসহ পাঁচ পদে প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে পাঁচটি ব্যালট পেপারে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
এদিকে সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিদেশের থাকা ইন্দোনেশীয় মিশনে আগাম ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রাতে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে বেসরকারি ফলপ্রকাশ হলেও নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করবেন মে মাসে। তবে কে প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হয়েছেন তা বুধবারেই জানা যাবে।
প্রেসিডেন্ট পদে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোকেই এগিয়ে আছেন বিভিন্ন জনমত জরিপে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকও মনে করেন যে, তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হবেন। উইদোদোর প্রথম মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে প্রায় ৪ কোটি কৃষকের প্রকৃত আয় কমে গেছে, যারা শ্রমশক্তির এক-তৃতীয়াংশ।
২০১৪ সালে সাবেক জেনারেল প্রবো সুবিয়ান্তোকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন রাজনীতিতে নতুন মুখ উইদোদো। গণ-আন্দোলনের তোপে পড়ে ১৯৯৮ সালে সুহার্তো পদত্যাগ করলে দেশটিতে শক্তিশালী হয়ে ওঠা সামরিক ও রাজনীতি এলিটদের কাছ থেকে পাঁচ বছর আগে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেন তিনি। একটি ছোট্ট শহরের মেয়র হিসেবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করা উইদোদো রাজনীতি শুরুর আগে ফার্নিচার বিক্রেতা ছিলেন। এবার ৫৭ বছর বয়সী এই নেতা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতার জন্য লড়ছেন।
তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিশেষ বাহিনীর সাবেক কমান্ডার ৬৭ বছর বয়স্ক সুবিয়ান্তো প্রেসিডেন্ট পদ লাভে কট্টর ইসলামপন্থীদের সাথে জোট গড়ে তুলেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি সামান্য ব্যবধানে উইদোদোর কাছে হেরে যান। সুবিয়ান্তো রাজনৈতিক অভিজাত পরিবারের সন্তান। তার বাবা ছিলেন একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। তিনি প্রেসিডেন্ট সুকর্ণ ও সুহার্তো উভয়ের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা