১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বর নিয়ে টানাটানি

সেই বিব্রতকর মুহূর্ত - ছবি : সংগৃহীত

নতুন জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন, বরের সাজে উপস্থিত হয়েছেন বিয়ের আসরে। এমন অবস্থায় যদি হঠাৎ করে টানাটানির শিকার হন বেচারা নতুন বর তাহলে কী বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে তার প্রমাণ পেয়েছেন বেচারা চীনের এক বর। তার ওই ভোগান্তির ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।

জানা গেছে, প্রেমিকের কাছে প্রত্যাখ্যাত হলেও হাল ছাড়েননি এক প্রেমিকা। প্রেমিক বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাবেন শুনে নিজেকে সামলাতে না পেরে নিজেই কনের সাজে উপস্থিত হন এক চীনা নারী। তারপর বিয়ের মঞ্চেই বর পড়ে যান টানাটানির মধ্যে। বিয়ের মঞ্চে ঘটে যাওয়ার ওই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিয়ের অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বর-কনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মঞ্চে। হঠাৎ করে কনের সাজে আচমকা বিয়ের মঞ্চে প্রবেশ করেন বরের সাবেক প্রেমিকা। মঞ্চে উঠেই তিনি প্রেমিকের হাত ধরে টানতে থাকেন। বেশ জোর-জবরদস্তিই করা হচ্ছিল মঞ্চ থেকে তাকে নামিয়ে নিতে। কিন্তু প্রেমিক তখন নতুন জীবনের দিকেই দৃষ্টি দিতে আগ্রহী ছিল। ফলে সাবেক সঙ্গিনীর দিকে তিনি ভ্রুক্ষেপও করছিলেন না। তাই জোর করে সাবেক এ প্রেমিকার কাছ থেকে হাত ছাড়িয়ে নেন ওই বর। এ অবস্থায় মাথায় হাত দিয়ে মঞ্চেই বসে পড়েন ওই নারী।

এরপর আবার যখন কনের নিকটবর্তী হতে যাচ্ছিলেন বেচারা বর, তখনই শেষ চেষ্টা হিসেবে আবারো বরের জামা টেনে ধরেন ওই নারী। এতক্ষণ বিষয়টি সহ্য করে যাচ্ছিলেন কনে। কিন্তু এবারের টানাটানির পর ধৈর্য হারান তিনি। এক পর্যায়ের বরের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়া প্রেমিকও তখন নববধূর পিছন পিছন ছুটতে থাকেন। আর সাবেক প্রেমিকা তখন বিয়ের মঞ্চে বসে বসে কাঁদছেন।

ভিডিওটি প্রথম প্রকাশ করেছিলেন বিনোদন বিষয়ক একজন ব্লগার। এর পর মুহূর্তেই সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিওটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

 

আরো পড়ুন : চীনে ত্রিশোর্ধ্ব নারীদের চাকরি থেকে ছুটি দেয়া হচ্ছে
বিবিসি, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৬

নতুন চন্দ্র বছর উদযাপন করতে চীনে কোটি কোটি মানুষ তাদের কাজ থেকে ছুটি নিয়ে পরিবারের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তবে কিছু সৌভাগ্যবান চাকুরীজীবী কর্মক্ষেত্র থেকে তাদের সাত দিনের নিয়মিত ছুটির সঙ্গে বাড়তি আট দিনের ছুটি পাচ্ছেন। এই সুযোগ কেবল মাত্র তিরিশের কোঠার অবিবাহিত নারীদের জন্য। এর উদ্দেশ্য, তারা যেন তাদের জীবন সঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, চীনের পূর্বাঞ্চলের হাংঝুর দুটি কোম্পানি তাদের কর্মচারীদের এই অতিরিক্ত 'ডেটিং লিভ' বা প্রেম করার ছুটি দিচ্ছে।

এর আগে খবর বেরিয়েছিল, ঐ শহরেই অবিবাহিত স্কুল শিক্ষিকাদেরও একই ধরনের 'লাভ লিভ' দেয়া হচ্ছিল।

চীনে কোন নারীর বয়স তিরিশের কাছাকাছি চলে আসার পরও যদি তিনি অবিবাহিত থাকেন, তখন তাদের তাচ্ছিল্য করে ডাকা হয় 'শেং নু' অর্থাৎ 'বাতিল' কিংবা 'বাদপড়া মেয়ে' বলে।

চীনে অনেক মেয়েই এখন যেহেতু তাদের কেরিয়ারের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন, তাই এরকম পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

চীনা সমাজে এখনো মেয়েদের ওপর চাপ থাকে বিয়ে করার জন্য। অন্যদিকে চীনে যেভাবে কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা কমছে এবং বয়োবৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়ে সরকার খুবই উদ্বিগ্ন।

চীনের শিক্ষিত নারীরা এখন বিয়ে-সংসারের চেয়ে কেরিয়ার গড়তেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন
'লেফটওভার ওমেন' এবং 'বিট্রেয়িইং বিগ ব্রাদার: দ্য ফেমিনিস্ট এওয়েকেনিং ইন চায়না' নামে দুটি বই লিখেছেন লেটা হং ফিনচার।

তিনি মনে করেন, ২৫ বছরের পরও অবিবাহিত নারীদের 'লেফটওভার ওমেন' বা বাতিল নারী বলে চিহ্ণিত করার এই ধারণাটির পেছনে একটা সুপরিকল্পিত সরকারী প্রচারণা কাজ করছে।

"বিশেষ করে শিক্ষিত নারীদের বিয়ে করে সন্তান গ্রহণের দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য এক সরকারী চেষ্টার অংশ এটি", বলছেন তিনি।

কমছে জন্মহার
২০১৫ সালে চীন তার এক সন্তান নীতি পরিত্যাগ করে। এরপরও চীনে জন্মহার কমছে। ২০১৩ সালের পর থেকে প্রতি বছর বিয়ের হারও কমছে।

২০১৮ সালে চীনে দেড় কোটির বেশি শিশু জন্ম নেয়। আগের বছরের তুলনায় এটি ছিল বিশ লাখ কম।

মিজ হং ফিনচার বলেন, চীনের জনসংখ্যায় নারী-পুরুষের অনুপাতেও বড় ধরনের ভারসাম্যহীনতা রয়েছে, কারণ সেখানে সরকারী নীতির কারণে পরিবারে ছেলে শিশু নেয়াকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

"চীনে আসলে নারীর স্বল্পতা আছে। সরকারী হিসেবেই চীনে এখন নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা তিন কোটি বেশি।"

চীনের একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্স বলছে, দেশটির জনসংখ্যা বর্তমানে যেখানে ১৪০ কোটি, তা আগামী ৫০ বছরে কমে দাঁড়াবে ১২০ কোটিতে।

এর পাশাপাশি যেহেতু জনসংখ্যায় প্রবীন মানুষের অনুপাত বাড়ছে, এটি চীনের সরকারী কোষাগার এবং সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থার ওপর বিপুল চাপ তৈরি করছে।

কিন্তু জীবন সঙ্গী খুঁজে নেয়ার জন্য চীনে অবিবাহিত নারীদের যে অতিরিক্ত ছুটি দেয়া হচ্ছে, সেটা কতটা কাজ করবে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।

হাংঝু সংচেন পারফর্মেন্স কোম্পানির মানবসম্পদ ম্যানেজার হুয়াং লেই বলেন, "অনেক নারী কর্মীর বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ খুব কম। তাই আমরা নারী কর্মীদের বাড়তি ছুটি দিতে চাই, যাতে তারা ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং মেলামেশার জন্য আরও বেশি সময় দিতে পারে।"

তিনি জানান, এই 'ডেটিং লিভ' পেয়ে কর্মীরা বেশ খুশি। তবে এটি কতটা কাজ করবে সেটা নিয়ে তার মনেও প্রশ্ন আছে।

তিনি বলেন, "এটি অনেক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং নীতির একটি অংশ মাত্র।"

"কিন্তু সমস্যা হলো মেয়েরা এখন বিয়ে করা বা সন্তান নেয়ার জন্য কোন ধরনে তাড়াহুড়োর মধ্যে নেই।"


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল