২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ব্যবসায়ী হয়ে উঠছে চীন

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ব্যবসায়ী হয়ে উঠছে চীন - সংগৃহীত

গোটা দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় অস্ত্র কারবারি হয়ে উঠছে চীন। বহু দেশে শুধু অস্ত্র বিক্রি শুধু নয়, সশস্ত্র ড্রোন রফতানিতেও বিশ্বের শীর্ষ দেশে পরিণত হয়েছে। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি)।

সুইডিশ এই থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চীন গত ৫ বছরে ৫৩টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করছে। ৫ বছর আগে তা ছিল ৪১টি দেশে। গবেষকেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ঘাতক ড্রোন রফতানিতে সবার শীর্ষে রয়েছে চীন। তারা গত ৫ বছরে ১৩টি দেশে ১৫৩টি ড্রোন রফতানি করেছে।

অন্যদিকে বিশ্বের বৃহত্তর অস্ত্র রফতানিকারক দেশ আমেরিকা ২০০৯ থেকে ১০ বছরে শুধু ব্রিটেনের কাছে ৫টি ড্রোন বিক্রি করেছে। জানা গেছে, চীনা ড্রোনের প্রধান ক্রেতা আরব দুনিয়ার দেশগুলো। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে মিসর, ইরাক, জর্ডন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মার্কিন অস্ত্রের শীর্ষ তিন আমদানিকারক দেশ হচ্ছে সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিররাত। সিপরির অস্ত্র হস্তান্তর ও সামরিক ব্যয় কর্মসূচির গবেষক ন্যান তিয়ান বলেন, চীনা সামরিক প্রযুক্তির কারণেই অস্ত্র রফতানি বৃদ্ধি মন্থর হয়েছে। দেশটি এখন নিজস্ব অস্ত্র উদ্ভাবনে জোর দিচ্ছে। ২০১৪-১৮ সালের মধ্যে আগের ৫ বছরের চেয়ে চীনা অস্ত্র রফতানির পরিমাণ বেড়েছে তুলনামূলক কম, মাত্র ২.৭ ভাগ।

অন্যদিকে, একই সময়ে আমেরিকার অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ২৯ ভাগ। ন্যান বলেন, আগে রাশিয়া, ইউক্রেন ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলোর উপর নির্ভরশীল ছিল চীনা অস্ত্র শিল্প। এখন তারা নিজস্ব প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। সশস্ত্র ঘাতক ড্রোন হলো চীনা অস্ত্র উৎপাদনকারীদের তৈরি অন্যতম প্রযুক্তিগত সাফল্য। অস্ত্র রফতানি হ্রাস পাওয়ায় চীনা সামরিক ব্যয়ের বৃদ্ধিও হচ্ছে অনেক কম গতিতে।

বেইজিং জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জন্য তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হবে ৭.৫ ভাগ। এ নিয়ে টানা চার বছর তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি একক অঙ্কে সীমিত থাকছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রধান মিত্র পাকিস্তানই দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনছে।

চীনা অস্ত্রের মধ্যে ৭০ ভাগ যাচ্ছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে। আর ৬.১ ভাগ যাচ্ছে আরব দুনিয়ায়। সম্প্রতি যুদ্ধবিমান তৈরির গোপন বোঝাপড়া করেছে চীন–পাকিস্তান। চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক জেএফ–১৭ যুদ্ধবিমান বানাতে পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চীন। সেই সঙ্গে সামরিক যন্ত্রাংশ তৈরিতেও হাত মিলিয়েছে দুই বন্ধু দেশ। ভারতের আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোর সঙ্গে জোরদার টক্কর দিতে এই ফাইটার জেট ব্যবহার করবে পাকিস্তান। তাই এই যৌথ উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের পরিকল্পনা, পাকিস্তানকেই যুদ্ধবিমান বানানোর ঘাঁটি বানানো, যাতে পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলো থেকে সহজে বিমান বিক্রির সুযোগ পাওয়া যায়।


আরো সংবাদ



premium cement