যেখানে শীর্ষে এরদোগান, পরে জিনপিং
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ মার্চ ২০১৯, ১৫:০২
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান কুয়েতের শীর্ষ জনপ্রিয় বিদেশি নেতা মনোনীত হয়েছেন। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত রোববার প্রকাশিত একটি জরিপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। স্থানীয় আল ক্বাবাস পত্রিকা এ জনমত জরিপটি পরিচালনা করে।
পত্রিকাটি জানায়, এ জরিপে অংশ নেয়া ৬৪ শতাংশ কুয়েতি নাগরিকই এরদোগানের পক্ষে নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক ও কুয়েতের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও রাজনীতি বিষয়ক বেশ কিছু চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
২০১৭ সালে এরদোগান এক রাষ্ট্রীয় সফরে কুয়েত সফর করেছিলেন। সে সময় তিনি কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহর সাথে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক চুক্তি ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ওই সফরে দুই পক্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে বিনিয়োগে বিশেষ সুবিধা ও সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেছিলেন। সে সময় তারা সৌদি আরব-কাতার দ্বন্দ্বসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেছিলেন। সূত্র : ডেইলি সাবাহ
আরো পড়ুন : সন্ত্রাসীদের অস্ত্র দেয় ন্যাটো : এরদোগান
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৬
আঙ্কারা অস্ত্র কিনতে চাইলে তা উপেক্ষা করে ন্যাটো। অথচ সন্ত্রাসীদের সমর্থনে তারা হাজার হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিচ্ছে। গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বর্দুর অঞ্চলে এক নির্বাচনীয় প্রচারণায় এ অভিযোগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।
ন্যাটোর প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ন্যাটো কোন ধরনের জোট। ইরাকের মাধ্যমে ন্যাটো সন্ত্রাসীদের ২৩ হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিয়েছে। কিন্তু তুরস্ক যখন তাদের কাছে অস্ত্র চায়, তখন অর্থের বিনিময়েও তা দিতে রাজি হয় না ন্যাটো। অথচ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত সিরিয়ার সাথে তুরস্কের ৯১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফলে বেশ ঝুঁকির মুখে রয়েছে তুরস্ক। এসময় অবশ্য এরদোগান অস্ত্রদাতা দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
ওই সমাবেশে এরদোগান এরদোগান আশা প্রকাশ করেন, তুরস্ক শীঘ্রই সিরিয়ার মানবিজ অঞ্চল ‘সন্ত্রাসীদের’ কাছ থেকে দখলমুক্ত করে স্থানীয়দের কাছে ফিরিয়ে দিবেন।
২০১৬ সাল থেকে মানবিজ কুর্দি পিপলস প্রটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি)-এর মিলিশিয়া বাহিনী মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ)-এর দখলে রয়েছে।
তুরস্কে নিষিদ্ধ সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)- এর সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দেশটি ওয়াইপিজিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে। পিকেকে তুরস্কে দীর্ঘ দিন ধরে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল, যার ফলে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়।
তুরস্ক সিরিয়া থেকে এ গ্রুপটিকে উচ্ছেদ করতে চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় হামলাকালে লোকাল এ গ্রুপটির সহায়তা নিয়েছিল। ফলে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় এ দলটি ওয়াশিংটনের সহায়তা লাভ করে। এ নিয়ে তুরস্কের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দফা আলোচনাও হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা