রাখাইনের পাঁচটি শহর দখলের পরিকল্পনা আরাকান আর্মির!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:৩৬, আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:৪৩
মিয়ানমারের রাখাইন প্রাদেশিক পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর এক প্রতিনিধি অভিযোগ করেছে যে, আরাকান আর্মি (এএ), আগামী ২০২০ সালের মধ্যে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় পাঁচটি শহর দখলের পরিকল্পনা করেছে। সম্প্রতি রাখাইনে আরাকান আর্মির যে হামলা শুরু হয়েছে তার বিশ্লেষণ করে এমন আশঙ্কা করছেন তিনি।
মিয়ানমারের দৈনিক ইরাবতির এ খবর জানিয়েছে। গত বুধবার প্রাদেশিক ওই সেনা প্রতিনিধি পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন। পার্লামেন্টে উত্থাপিত ওই প্রস্তাবনায় রাখাইনের মানুষের প্রতি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাবনায় দাবি করা হয়, মিয়ানমার সেনাবহিনী সবসময় সাধারণ মানুষের জীবন ‘সুরক্ষিত’ রাখার কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া সব জাতি ও ধর্মের মানুষের ‘অধিকার’ রক্ষায় সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর বলে দাবি করা হয়েছে। রাখাইনের নাগরিকদের মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর হামলা থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সেনাবাহিনী।
রাখাইন প্রাদেশিক পরিষদের সেনা প্রতিনিধি মেজর থেট ও মং বুধবার পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে চলাকালে বলেন, আরাকান আর্মি ‘আরাকান ড্রিম-২০২০’ মিশনের আওতায় আগামী বছরের মধ্যে রাখাইনের পেলেতোয়া, কিয়াকতো, মারুক-উ শহর দখল করার পরিকল্পনা করছে। তিনি আরকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) বিরুদ্ধে মায়ু অঞ্চলের বুথিডং ও মংগদু শহরে হামলা চালিয়ে তা দখল করার পরিকল্পনা করার অভিযোগ তোলেন। অবশ্য আরাকানি আর্মির কমান্ডার সেনাবাহিনীর তোলা এমন অভিযোগ আগে থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র উ খিনে থুখা ওই সেনা প্রতিনিধির এমন প্রস্তাবনাকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং সেনাবাহিনীর জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য সেনাবাহিনীকে গণভোট আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন। পার্লামেন্টকে ব্যবহার করে রাখাইনের জনগণের ওপর প্রভাব খাটানোর নিন্দা করেন আরাকান আর্মির ওই মুখপাত্র।
সূত্র : ইরাবতি
রোহিঙ্গা নিপীড়ন হয়েছে তবে সেনাবাহিনী জড়িত নয় : মিয়ানমার সেনাপ্রধান
রয়টাস
প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাপ্রধান স্বীকারোক্তি দিলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। জাপানি সংবাদমাধ্যম আশাহি শিমবুনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর একাংশ এই নিপীড়ন চালিয়ে থাকতে পারে। তবে ওই নিপীড়নে সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ অতীতের ধারাবাহিকতায় আবারো নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ‘সুনির্দিষ্ট প্রমাণ’ নেই বলে দাবি করেছেন। শুক্রবার আশাহি শিমবুনে প্রকাশিত হয় তার সাক্ষাৎকারটি।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তলাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাত লাখেরও বেশি মানুষ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যম রোহিঙ্গা নিপীড়নে সেনা সংশ্লিষ্টতার আলামত পেয়েছে। রয়টার্সের খবরে ইন দিন গ্রামের এক গণহত্যায় সেনাসংশিষ্টতার প্রমাণ হাজির করা হয়। ২০১৮ সালে জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের রিপোটেও রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা চালানোর আলামত মেলে। তা সত্ত্বেও নিপীড়নের কথা অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।
শুরু থেকেই রোহিঙ্গা নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এবার প্রথমবারের মতো আশাহি শিমবুনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিন অং হ্লায়াং স্বীকার করেছেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সংখ্যক সদস্যের এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে’।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা