২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
বনসাই চোরদের প্রতি বৃদ্ধ দম্পতির অশ্রুভেজা মিনতি

চুরি করেছ বলার কিছু নেই, ঠিক মতো পানি দিও

শিমপাকু বনসাই - ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি মানুষের প্রিয় বনসাই গাছ। জাপানেই প্রথম এ শিল্পের সূচনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বিশেষ চাষ কৌশলের মাধ্যমে বনসাই গাছকে সুক্ষ্ম শিল্প কর্মের আকার দেয়া হয়। ক্ষুদে এসব গাছ পাত্রে বেড়ে উঠে; যা পূর্ণাঙ্গ গাছের আকৃতি ধারণ করে, তবে এগুলোর জন্য প্রয়োজন বিশেষ যতœ-আত্তির।

জাপানের টোকিওর কাছের শহর সেইতমার বাসিন্দা সেইজি ইউমুরা পারিবারিকভাবেই বনসাই ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পাঁচ প্রজন্ম ধরে বনসাই তৈরির সাথে যুক্ত তারা। ইডো পিরিয়ড (১৬০৩-১৮৬৮) থেকেই ইউমুরা পরিবার বনসাই শিল্প ও ব্যবসার সাথে জড়িত।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউমুরার সেই বনসাই থেকে সম্প্রতি ৭টি বনসাই চুরি হয়ে গেছে। মুদ্রামানে এগুলোর দাম ছিল এক কোটি ৩০ লাখ ইয়েন বা বাংলাদেশি প্রায় ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৭ টাকা। কিন্তু অর্থের চেয়েও মূল্যবান ছিল এসব বনসাই। কারণ শুধু বছর নয়, বরং প্রজন্মের সাক্ষী ছিল এসব গাছ। এদের মধ্যে এমনও গাছ ছিল যেটির বয়স চারশ পেরিয়েছে।

সেইজি ইউমুরার স্ত্রী, ফুইয়ুমি ইউমুরা জানান, ক্ষুদ্রাকৃতির এ গাছগুলোকে তারা সন্তানের মতো করেই লালন-পালন করেন। কিন্তু এসব গাছ চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন তারা চরম হতাশ। কারণ সামান্য অযতেœ এ দামিগাছগুলো মরে যাবে।

‘শিমপাকু’ নামের গাছগুলো পানি ছাড়া একেবারেই বাঁচে না। চুরি যাওয়া গাছগুলোর মধ্যে এ প্রজাতির বনসাইও রয়েছে। সপ্তাহখানেক যদি পানি দেয়া না হয়, তাহলে গাছগুলোর আশা আর না করাই ভালো।

ফলে দুঃখ পেলেও চোরদের উদ্দেশে অশ্রুভেজা আবেদন জানিয়েছে ইউমুরা পরিবার। চোরদের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছেন যেন গাছগুলোতে নিয়মিত অন্তত পানি দেয়া হয়।

ফেসবুকে ইমুরা লিখেছেন, আমাদের এখন কেমন লাগছে সেটি বর্ণনা করার কোনো ভাষা নেই। মনে হচ্ছে আমরা যেন আমাদের সন্তানদের হারিয়ে ফেলেছি। বনসাইগুলো আমাদের কাছে মহা মূল্যবান ছিল।

এগুলোর মধ্যে শিমপাকু প্রজাতির বনসাইটি প্রায় ৪০০ বছর ধরে বেঁচে আছে। এর জন্য বিশেষ যতœ দরকার এবং পানি ছাড়া এক সপ্তাহও বাঁচতে পারবে না। এটা চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে, এমনকি আমরা মারা যাওয়ার পরও। যে নিয়ে গেছে আমি তাকে বলতে চাই, গাছগুলোতে যেন যথাযথভাবে পানি দেয়া হয়।

ধারণা করা হচ্ছে কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি করতে চোরেরা এসব বনসাই নিয়ে গেছে। কিন্তু পানির অভাবে যদি মারাই যায় গাছগুলো, তাহলে এতসব অপচেষ্টা তো মাঠে মারা যাবে।

এই শিমপাকুর একটি ইতিহাসও রয়েছে। চার শতাব্দী আগে একটি পাহাড় থেকে এটি সংগ্রহ করে আনা হয়েছিল। এর পর থেকে এটিকে বনসাই বানাতে চেষ্টা চালিয়ে যান ইমুরার পরিবার। শেষ পর্যন্ত এটি তিন ফুট লম্বা এবং দুই ফুট প্রস্থ সাইজে আনা নিয়ে আসা হয়।

সূত্র : এনডি টিভি, বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান

সকল