২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

‘দেশ দখলের চিন্তা নেই তালেবানের’

সামরিক শক্তি দিয়ে দেশ দখল করতে চায় না তালেবান - ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শান্তি আলোচনায় আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠি তালেবানের নেতৃত্ব দেয়া শের মোহাম্মাদ আব্বাস স্টানিকজাই বলছেন, সামরিক শক্তি দিয়ে পুরো দেশ করায়ত্ব করার পরিকল্পনা নেই তাদের। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এতে আফগানিস্তানে শান্তি আসবে না’।
তবে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশ থেকে বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না।

জাতিসঙ্ঘের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে হতাহতের ঘটনাগুলোতে অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোর চেয়ে তালেবানের ভুমিকাই বেশি।

২০০১ সালে মার্কিন সেনা অভিযানের আগ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৫ বছরের(১৯৯৬-২০০১) মতো ক্ষমতায় ছিলো আফগানিস্তানে। এরপর ক্ষমতাচ্যুত হলেও সামরিক আধিপত্য বিস্তারের লড়াই থামায়নি দলটি। কিন্তু এই প্রথম তাদের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য এল যে, তারা সামরিক শক্তি দিয়ে দেশ দখল করতে চায় না। দেশ শাসনের চেয়ে তাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে দেশটিতে শান্তি আনা।

অনেক দিন তালেবানের কাতার অফিসের রাজনৈতিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছন শের মোহাম্মাদ স্টানিকজাই। কিছুদিন আগে সেই দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলেও গোষ্ঠিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি তিনি। মস্কোয় একটি শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন তালেবানের নতুন লক্ষ্য সম্পর্কে। তিনি বলেন, গত শতাব্দির নব্বুইয়ের দশকে দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা তালেবানের লক্ষ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। ওই সময় দলটি বিভিন্ন আফগান সশস্ত্র গোষ্ঠির কাছ থেকে বিরোধীতার সম্মুখীন হয়েছিল। স্টানিকজাই বলেন, ‘যুদ্ধের চেয়ে শান্তি আনা অনেক কঠিন’। তবে তিনি আশাবাদী যে এই সঙ্ঘাত শেষ হবে শীঘ্রই।

বেশ কিছুদিন ধরেই আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়েছেন স্টানিকজাই। আফগান পুণঃএকত্রিকরণ বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত জালমি খলিলজাদের সাথেও বেশি কয়েক দফা বৈঠক করেছেন তিনি। জানুয়ারিতে তারা শান্তি প্রক্রিয়ার একটি খসড়া কাঠামোতে পৌছেছেন বলেও খলিলজাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

তবে এটি হয়েছিল দুটি অঙ্গীকারের ওপর ভিত্তি করে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তারা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে, অন্য দিকে তালেবান অঙ্গীকার করেছে আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী গ্রুপগুলোকে আফগানিস্তানের মাটিতে জায়গা করে নিতে দেবে না ভবিষ্যতে। দেশটিতে ১৭ বছর ধরে চলা যুদ্ধ নিরসের এটিই সবচেয়ে কার্যকর ও সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement