২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাখাইনে কী করছে মিয়ানমার?

রাখাইনে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কাজ অব্যাহত - ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার রাজ্য সরকার। এ পরিকল্পনার আওতায় কানিয়ন চং অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোনে নার কিউন শিল্পাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইনে লাইভস্টক এবং কৃষি অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাখাইনের অর্থ, রাজস্ব ও পরিকল্পনাবিষয়ক মন্ত্রী উ কিয়াউ আয়ে থেইন জানিয়েছেন, মার্চ নাগাদ কানিয়ন চং অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছে রাজ্য সরকার। কানিয়ন চং-এর অবস্থান মংদু এলাকার কাছে। বাংলাদেশ ও ভারতের নিকটবর্তী এ এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে সমুদ্রপথে দেশটির বাণিজ্য বাড়বে।

২০১৫ সালে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে তুলতে ১৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি-বেসরকারি দুই খাতের অর্থায়নে এ কাজ চলছে। রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী উ নি পু বলেন, ‘কানিয়ন চং অর্থনৈতিক অঞ্চলটি সমুদ্র-বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার আশা করা হচ্ছে।’ কানিয়ন চং-এর পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইনের পোনে নার কিউন এলাকার পোনে নার কিউন শিল্প অঞ্চলেও অর্থনেতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পূর্ববর্তী সরকার সেখানে শিল্পাঞ্চল নির্মাণের কাজ শুরু করলেও পরে তা বিলম্বিত করা হয়েছিল। এখন নতুন করে সেখানে কাজ শুরু হবে। উ কিয়াউ আয়ে থেইন বলেন, ‘মিয়ানমারের ন্যাশনাল প্রজেক্ট ব্যাংক অব দ্য মিয়ানমার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানের আওতায় আমরা পোনে নার কিউন শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলব। অংশগ্রহণের জন্য বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাব আমরা।’ এ ছাড়া কাসাপানাদি নদীর কাছে কিয়াউকেতো এলাকায় কৃষি ও লাইভস্টক অঞ্চল গড়ে তোলারও পরিকল্পনা চলছে।

রাখাইন সফরে ক্রিস্টিন
এ দিকে মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন বার্গেনার রাখাইনের উত্তরাঞ্চল পরিদর্শন করছেন। সহিংসতাকবলিত রাখাইনে জাতিসঙ্ঘের সহযোগিতার উপায় খোঁজার জন্য গতকাল মঙ্গলবার থেকে তিনি এই সফর করছেন। আইনসভার সিনিয়র এক সদস্য জানিয়েছেন, জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর রাখাইনের পার্লামেন্টের সদস্যদের সাথে বৈঠক করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সোমবার রাখাইনের পার্লামেন্টের স্পিকার ইউ মিয়া থান বলেন, আলোচনার নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমরা জানি না; কিন্তু আগামীকাল (মঙ্গলবার) বৈঠকের সূচি নির্ধারিত করা হয়েছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার রাজধানী নেপিডোতে পৌঁছেন ক্রিস্টিন। তিনি সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার কার্যালয়ের সাথে বৈঠক করবেন। তবে তিনি রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও শীর্ষ সামরিক নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। 

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ক্রিস্টিন মিয়ানমার পৌঁছেছেন শনিবার এবং এক সপ্তাহ অবস্থান করবেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ক্রিস্টিন রাখাইনের কয়েকটি আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন। তিনি কিয়াকতাউ, বুথিডং, মংডু ও সিত্তইয়ের পুনঃস্থানান্তর কেন্দ্রগুলোও ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি স্থানীয় বেসামরিক বাসিন্দা ও সামরিক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেছিলেন। জাতিসঙ্ঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও শরণার্থীবিষয়ক কমিশন (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে রাখাইনে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগে সহযোগিতা করছে।


আরো সংবাদ



premium cement
আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না মিয়ানমারে ফিরল সেনাসহ আশ্রিত ২৮৮ জন বিএনপি ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : কাদের রোববার থেকে স্কুল খোলা : শনিবারও চলবে ক্লাস যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ থেকে সরিয়ে আনতে চান ট্রাম্প : বাইডেন কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার প্রবাসী দেশে ফেরার সময় মারা গেলেন চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু ভারতীয় ৫২৭ খাদ্যপণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ তীব্র তাপদাহের জন্য দায়ী অবৈধ সরকার : মির্জা আব্বাস অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি : বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

সকল