শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে রাজাপাকসের পদত্যাগ
- আল জাজিরা
- ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৪২
অনেক বিতর্ক আর নাটকের পর অবশেষে পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে। যার মধ্য দিয়ে দেশটিতে গত দেড় মাস ধরে চলা বির্তক অবসানের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
শনিবার রাজধানী কলম্বোতে নিজ বাসভবনে সমর্থক ও এক দল সাংবাদিকের সামনে ৭৩ বছর বয়সী রাজাপাকসে তার পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন। রাজাপাকসে বলেন, প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনাকে একটি নতুন সরকার গঠনের সুযোগ করে দিতেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
অক্টোবর মাসে হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাহিন্দ রাজাপাকসেকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। কিন্তু নিজেকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী দাবি করে পদ না ছাড়ার কথা জানান বিক্রমাসিংহে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ত্যাগ না করার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। অন্যদিকে নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে প্রস্তুতি নিতে থাকেন নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের।
বিষয়টির সমধানের জন্য পার্লামেন্টে ভোটাভুটির দাবি উঠলে পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। এরপর বিষয়টি গড়ায় আদালতে। পরে সুপ্রিম কোর্ট বিক্রমাসিংহের অপসারণকে অবৈধ ঘোষণা করে।
শ্রীলঙ্কার সংবিধান মতে, দেশটিতে ফরাসি সরকার পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী থাকেন এবং প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিক্রমাসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) পার্লামেন্টে সংখাগরিষ্ঠ দল। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নিয়োগ দেয়া হবে।
গত কিছুদিন ধরেই বিক্রমাসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) ও সিরিসেনার ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের (ইউপিএফএ) মধ্যে টানাপড়েন চলছিলো। বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তদন্তে অবহেলার অভিযোগ এনে জোট ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলো প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার জোট ইউপিএফএ। তার জের ধরেই বিক্রমাসিংহেকে অপসারণ করে রাজাপাকসেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন রাজাপাকসে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা