২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রাখাইনে সংঘর্ষে উচ্চপদস্থ অনেক সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানি

রাখাইনে সংঘর্ষে উচ্চপদস্থ অনেক সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানি - সংগৃহীত

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে সংঘর্ষে দেশটির সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ বেশ কিছু কর্মকর্তার প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধানের কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

সেনা প্রধানের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাখাইনের বুথিডং ও রাথেডং এলাকায় আরাকান আর্মির সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। তবে সংঘর্ষে কতজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে সে ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করেনি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

তবে সেনাসদস্যরা চারজন আরাকান আর্মির সদস্যকে হত্যা এবং তাদের কাছ থেকে এম-২২ রাইফেল জব্দ করেছে বলে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিরোধ হিসেবে গত ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তারা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন পরিচালনা করে।

সংঘর্ষের সময় আরাকান আর্মির কমপক্ষে ৮০ জন যোদ্ধা সেনাবাহিনীর ইউনিট বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করে। এ সময় বিদ্রোহীরা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটায় বলেও জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় এই প্রদেশে সেনাবাহিনীর কোন ইউনিট কাজ করে তা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বিবৃতিতে। তবে বিবৃতিতে আরাকান আর্মির সদস্যদের ‘সশস্ত্র বিদ্রোহী’ বলে দাবি করা হয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযোগ, মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত বরাবর যে সীমান্ত বাঁধ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে আরাকান আর্মি।

বিবৃতিতে আরাকান আর্মির হামলার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, আরাকান আর্মির এমন মনোভাবের কারণে সীমান্ত অঞ্চলে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি এক ঘোষণায় জানায়, উত্তর বুথিডংয়ে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ইউনিট (লাইট ইনফ্যান্ট্রি-৫৬৪) ঢুকে পড়ে। আরাকান আর্মির দাবি, সংঘর্ষের সময় মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সাত সদস্যকে হত্যা করেছে তারা।

আরাকান আর্মি বলছে, খুব শিগগিরই তারা তাদের বিরোধীপক্ষের সেনাদের মৃতদেহ, আগ্নেয়াস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও যুদ্ধক্ষেত্রের রেকর্ড প্রকাশ করবে।

সহিংসতাপূর্ণ রাখাইনে আরাকান আর্মির ঘাঁটিগুলো নিশ্চিহ্ন ও সেনা সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এই অঞ্চলে আরো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি।


আরো সংবাদ



premium cement