ওপেক ছাড়ার ঘোষণা দিল কাতার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:০৫
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কানট্রিজ (ওপেক) থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
কাতারের জ্বালানি মন্ত্রী সাদ শেরিদা আল-কাবি আজ সোমবার ওপেক ত্যাগের এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, কাতার তার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিবছর ৭৭ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ১১০ মিলিয়ন টন করতে চায়। এছাড়া ভবিষ্যতের আরও কিছু উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার হিসেবে বিশ্বের অন্যতম প্রধান তরল গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ কাতার। বৈশ্বিক মোট তরল গ্যাস বাণিজ্যের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ তরল গ্যাস রপ্তানি করে থাকে কাতার নিজেই।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আসন্ন ওপেক সম্মেলনের আগে সংস্থাটি ত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো কাতার। আগামী ৬ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৫ জুন সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের ঘটনায় সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটে জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। কারণ বিশ্বের শীর্ষ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানিকারক দেশ কাতার।
অন্যদিকে আগে ওপেক সদস্যভুক্ত দেশগুলো ও রাশিয়া তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে তেলের দরপতন না হয়।
ধারণা করা হচ্ছে ওপেকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে তেল উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যেই দেশটি ওপেক ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে তেলের মূল্য ছিল ব্যারেল প্রতি ৮৬ ডলার যা পরবর্তীতে ৬০ ডলারে নেমে আসে। এরপরই ওপেকভূক্ত দেশ ও রাশিয়া তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কাতার এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে পারেনি।
বৈশ্বিক তেলের বাজার ওপেকের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তেল রপ্তানিকারক শীর্ষ ১৫টি দেশ নিয়ে ওপেক গঠিত। এর আগে, ২০০৮ সালে ইন্দোনেশিয়া ওপেক থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
উল্লেখ্য, ওপেকভুক্ত প্রধান দেশগুলো হলো, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, কাতার, ভেনেজুয়েলা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও সৌদি আরব। ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওপেকের সদরদপ্তর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা