২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গৃহযুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সামরিকবাহিনী প্রধান আটক

শ্রীলঙ্কার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল রবীন্দ্র উইজেগুনারাত্নে - সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল রবীন্দ্র উইজেগুনারাত্নেকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। পাশাপাশি সেনাপ্রধানকে পাঁচদিন পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন কলম্বোর একটি আদালত।

শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধকালীন সময়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে গতকাল বুধবার কলম্বো ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অ্যাডমিরাল রবীন্দ্র উইজেগুনারাত্নের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে আটকের আদেশ দেন।

আটকের পর শ্রীলঙ্কার সামরিকবাহিনীর চীফ অব ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল রবীন্দ্র উইজেগুনারাত্নে

 

এর আগে নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে উইজেগুনারাত্নের বিরুদ্ধে তিনটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এই আদালত।

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় ২৬ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের সময় ১১ তরুণকে অপহরণ ও খুনের ঘটনার সাথে উইজেগুনারত্নের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আর এ কারণেই তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সেই হিসেবে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আটক থাকবেন শ্রীলঙ্কার এই সেনা কর্মকর্তা। এই সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে আরও তদন্ত করা হবে।

এদিকে তার জামিন আবেদন নাকচ করার বিষয়ে দেশটির ম্যাজিস্ট্রেট রাঙ্গা দিশানায়েকে বলেন, মুক্ত থাকলে উইজেগুনারত্নে তদন্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারেন। এ কারণে তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে।

তবে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল উইজেগুনারাত্নে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার সাথে কথা বলারও সুযোগ দিচ্ছেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। এর আগে তাকে বেশ কয়েকবার আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হলেও তিনি আসেননি। বুধবার সকালে নিজে এসেই আত্মসমর্পণ করেন।

আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত নেভি গোয়েন্দা কর্মকর্তা চন্দনরা প্রসাদকে রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পরে তার বিরুদ্ধে তিনটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পুলিশের ধারণা, ১১ জন তরুণকে নৌবাহিনীর হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশেরও সন্ধান মেলেনি।

৩৭ বছরের গৃহযুদ্ধে অনেক সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ এসেছে। বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন বেশ কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাও।

২০০৮ সালে গৃহযুদ্ধ চলার সময় শ্রীলঙ্কায় অনেক অপহরণের ঘটনা ঘটে। তখন ১১ তরুণ অপহরণ হওয়ার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিল আন্তর্জাতিক কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।

অতীতে শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো নিয়ে সম্প্রতি তদন্ত শুরু হয়েছে। এ কারণেই ২০০৮ সালের অপহরণের ঘটনাটি নতুন করে সামনে এলো।


আরো সংবাদ



premium cement