২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনের অত্যাধুনিক সামরিক বিমান ওয়াই-টুয়েন্টি যা করতে সক্ষম

চীন
দেশে তৈরি সেই বিমানের কোডনেম দেয়া হয়েছে ‘কিনপেং’। - ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে চীন অত্যাধুনিক সামরিক বিমান তৈরি করছে চীন। সম্প্রতি স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়ল চীনের ওই প্রকল্প। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওয়াই-টুয়েন্টি নামের ওই বিমান সংখ্যায় বাড়ছে। চীনের প্রোডাকশন হাব ইয়ানলিয়াং-এ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে সেইসব যুদ্ধবিমান।

দেশে তৈরি সেই বিমানের কোডনেম দেয়া হয়েছে ‘কিনপেং’। এটি আসলে চীনের এক পৌরাণিক পাখি, যা নাকি কয়েক হাজার কিলোমিটার উড়ে যেতে পারতো।

চীনের সরকারি সংস্থা ‘অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অফ চায়না’ ওই বিমানগুলো তৈরি করছে। এসব বিমানের সাথে রাশিয়ার এল- সেভেন সিক্স বিমানের বেশ মিল রয়েছে। রাশিয়ার এই বিমান ভারতের কাছেও রয়েছে।

আবার চীনের এই বিমানের সাথে মার্কিন এয়ারফোর্সের সি-১৭ গ্লোবমাস্টারেরও অনেক মিল রয়েছে, বিশেষত পিছনের দিকের অংশে। আমেরিকার এই বিমানও রয়েছে ভারতের হাতে।

চীন মূলত সেনা ও অস্ত্র বহণের জন্য তৈরি করছে এগুলো। এতে চীনের ইলেকট্রিক ওয়ারফেয়ার বা রিফুয়েলিং ইকুইপমেন্ট বহন করা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

প্রতিকূল আবহাওয়াতে যাতে দ্রুত অস্ত্র পৌঁছে দেয়া যায়, তার জন্যই তৈরি এই বিমান। ২০১৩ সালে প্রথম এই বিমান উড়িয়েছিল চীন। স্যাটেলাইট ইমেজে সেই ছবিও ধরা পড়ে যায়।

আগামী দিনে চীন এর মধ্যে কয়েকটিকে মিড-এয়ার রিফুয়েলার হিসেবে ব্যবহার করবে। কয়েকটি ট্রায়াল ভার্সন বিভিন্ন প্রদর্শনীতে দেখা গেলেও, এখনো পর্যন্ত আকাশে ওড়াতে দেখা যায়নি এই বিমানগুলো।

আরো পড়ুন :
এস–৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে কতটা জানেন?
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০৬ অক্টোবর ২০১৮
শুক্রবার ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছে রাশিয়া ও ভারত। মার্কিন চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে অবশেষে রাশিয়ার কাছ থেকে শক্তিশালী এস–৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে নয়াদিল্লি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সই করেছেন ৪০ হাজার কোটি টাকার এই চুক্তিতে। ভারতের এই অস্ত্রের টার্গেট চীন ও পাকিস্তান। আর দুই দেশকে চাপে রাখতে এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই এই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য মরিয়া ছিল ভারত। এমনকি আমেরিকার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার ভ্রূকূটি থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার সই হয়েছে এই চুক্তি। এর ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী আরো শক্তিশালী হয়ে উঠল, এমনটাই মত প্রতিরক্ষা বিশারদদের। কারণ এই মারণাস্ত্র বিশেষ খুব কম দেশের হাতেই রয়েছে।

জেনে নিন এই এস–৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :‌
• এই এস–৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমটি ভূমি থেকে আকাশে আঘাতকারী। শত্রু দেশের যেকোনো যুদ্ধবিমান আকাশেই ধ্বংস করে দেবে এটি।

• এস–৪০০–এর রেডারে সব ধরনের বিমানই ধরা পড়ে। এমনকি স্টেলথ যুদ্ধবিমানগুলোও পার পাবে না।

• এটি একসঙ্গে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে।
• প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায় রাশিয়া থেকে পাঁচটি এস–৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত। চুক্তি হওয়ার ২৪ মাস পর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারত হাতে পাবে।

• রাশিয়ার তৈরি এই এস–৪০০ ভূমি থেকে আকাশে আঘাতকারী ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। ৩৮০ কিলোমিটার দূর থেকেই শত্রু দেশের যুদ্ধবিমান, অপহৃত বিমান, ড্রোন কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম।
• ২০০৭ সাল থেকে রাশিয়া এস–৩০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমটি ব্যবহার করে আসছে। এটি তারই উন্নত সংস্করণ।

• এটি ভারতের হাতে আসা মানে চীন এবং পাকিস্তান অনেকটাই চাপে থাকবে। কারণ এটি যেমন শত্রু দেশের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে সক্ষম, তেমনই এর রেঞ্জে এবার এই দুই দেশের অনেকটা অংশই চলে আসবে। অর্থাৎ প্রয়োজনে চীন–পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো মূহূর্তে ধ্বংস করে দেবে ভারত।

• ভারতের আগে কেবলমাত্র চীনকে ২০১৪ সালে এই মারণাস্ত্র বিক্রি করেছিল রাশিয়া।
• ৬০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নজরদারি চালাতে পারে এস–৪০০ এর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। পাশাপাশি পাঁচ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রকেও মুহূর্তে ধ্বংস করতে পারে।

এই চুক্তির সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল আমেরিকার হুঁশিয়ারি। আমেরিকা গত বছরই ঘোষণা করে রাশিয়া, ইরান আর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যে কোনোরকম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অথবা স্ট্র্যাটেজিক চুক্তিতে আবদ্ধ হলে সেইসব দেশগুলোর উপর জারি করা হবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা। এখন ইরানের থেকে তেল আমদানি ৪ নভেম্বরের মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে বলে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলছে ভারতের উপর।

এই প্রেক্ষাপটে পুতিনের ভারত সফর, তার আগে রাশিয়ার সোচিতে মোদি ও পুতিনের আলাপচারিতা এবং অবশেষে শুক্রবার ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির মাধ্যমে ভারত আমেরিকাকে উপেক্ষার বার্তাই দিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া ভারতের চিরকালীন বন্ধু। সেই বন্ধুত্বে আজ নতুন এক মাইলফলকের সংযুক্তি লো। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও বেশি শক্তিশালী হবে। এটা তারই ইঙ্গিত। শুক্রবার এই কথা বলে মোদি আদতে নেহরুবাদী বিদেশনীতিতেই আবার প্রবেশ করলেন বলে মনে করা হচ্ছে। নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধী বরাবরই আমেরিকাকে উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার আমেরিকা ও ইসরাইলের সঙ্গে অতিরিক্ত সখ্য স্থাপন করেন। রাশিয়া কিন্তু প্রত্যাঘাত করতে দেরি করেনি।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে জনতার অবরোধ ভাঙতে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০টি সহযোগিতা নথি সই ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি’ মিলান ডার্বি জিতে শিরোপা পুনরুদ্ধার ইন্টারের কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক আহত অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর সাংবাদিকের বড় ভাই উদ্ধার মালয়েশিয়ায় ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ১০ নৌ-সদস্য নিহত প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে কাতারের আমির বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়লো ৭ কৃষক পরিবারের বসতঘরসহ গরু-ছাগল ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় রিকশাচালক নিহত

সকল