২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানে কুচকাওয়াজে হামলা, তিন রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব

ইরাক সীমান্তের কাছে সামরিক কুচকাওয়াজে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শিশু ও নারীসহ অন্তত ২৯ জনকে হত্যা করা হয়। - ছবি: এএফপি

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইরাক সীমান্তের কাছে সামরিক কুচকাওয়াজে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শিশু ও নারীসহ অন্তত ২৯ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নির্মূলের অঙ্গীকার করেছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আহবাজ নগরীতে শনিবার ভয়ঙ্কর এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ(আইএস)। তবে ইরানের কর্মকর্তারা এই ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিদেশী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে।

সামরিক কুচকাওয়াজে হামলার জন্য ইরান দেশটিতে ডাচ ও ডেনিস রাষ্ট্রদূত এবং বৃটিশ চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে। সরকারী সংবাদ সংস্থা ইরনা রোববার এ কথা জানায়।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, এই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসী গ্রুপের কিছু সদস্যকে এই দেশগুলো আশ্রয় দেয়ায় রাষ্ট্রদূতদের তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাশেমীর বরাত দিয়ে ইরনা জানায়, হামলায় জড়িত ‘অপরাধী ও তাদের সহযোগীদের’ বিচারের মুখোমুখি করতে তাদের ইরানের কাছে হস্তান্তরের জন্য ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

কাশেমী বলেন,সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো ইউরোপের মাটিতে যতক্ষণ সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত না করছে ততক্ষণ ইউরোপীয় ইউনিয়নে তাদের কালোতালিকাভুক্ত না করা অগ্রহণযোগ্য।

বৃটিশ রাষ্ট্রদূতের অনুপস্থিতিতে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্সকে তলব করে বলা হয়, লন্ডন ভিত্তিক টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আল-আহবাজী সন্ত্রাসী গ্রুপের মুখপাত্রের এই হামলার দায় স্বীকার করার সুযোগ ও প্রশ্রয় প্রদান গ্রহনযোগ্য নয়।

তিনি এই ঘটনার জন্য দায়ী একটি গ্রুপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ইরানের প্রধান প্রতিদ্বন্ধী সৌদি আরব তাদের মদদ দিচ্ছে।

আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলায় একাট্টা রাশিয়া-চীন-ইরান ও ইইউ

প্রেস টিভি, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলায় একাট্টা রাশিয়া-চীন-ইরান ও ইইউ - সংগৃহীত
আমেরিকার একতরফা নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে রাশিয়া, চীন, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। এজন্য আগামী দিনগুলোতে এসব দেশ ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা জোরদার করবে।

সম্প্রতি রাশিয়ার অন্যতম উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন। 

তিনি আরো বলেন, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার জন্য কিছু কর্ম-পরিকল্পনা করেছে। এর আওতায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জবাব দেয়ার জন্য এসব দেশ ও সংস্থা ঐক্যবদ্ধ উপায় খুঁজে বের করবে।

মার্কিন চাপের মুখে ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা না করায় ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর সমালোচনা করেছেন রিয়াবকভ।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর এ ধরনের নীতি ভুল।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে আর্থিক সমর্থন দেয়ার পদক্ষেপ নেয় ইইউ। কিন্তু তারা মার্কিন চাপের কাছে অনেকটা নতিস্বীকার করে ইরানের সাথে ব্যবসা অব্যাহত রাখতে অপরাগতা প্রকাশ করে। এর ফলে ইইউ’র পক্ষ থেকে নেয়া পদক্ষেপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউরোপের এ পদক্ষেপ ইরানের সাথে তাদের সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত বহন করে।

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য শক্তিশালী করার আহ্বান
 ৩০ জুন ২০১৮

ইরান ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ব শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর শত্রুদের অশুভ ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে দুই দেশের সেনাবাহিনী।

ইরান সফররত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল বিলাল আকবর শুক্রবার তেহরানে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী- আইআরজিসি’র পদাতিক বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ পাকপুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  ওই সাক্ষাতে দু’দেশ এ আহ্বান জানায়।


সাক্ষাতে ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গোয়েন্দা সহযোগিতা শক্তিশালী করা, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো এবং যৌথ সীমান্তে বিরাজমান নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।

একইসঙ্গে ইরান ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন জেনারেল পাকপুর ও জেনারেল বিলাল আকবর।

গত মঙ্গলবার পাকিস্তান থেকে আসা সশস্ত্র জঙ্গিদের হামলায় দু’দেশের সীমান্তবর্তী মিরজাভে শহরে তিন ইরানি সীমান্তরক্ষী নিহত ও অপর আটজন আহত হন। ওই হামলার পর গত বৃহস্পতিবার তেহরানে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসিফ আলী খান দুররানিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ওই ঘটনার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল বিলাল আকবর তেহরান সফর করলেন।

আধুনিক সেন্ট্রিফিউজ নির্মাণ করছে ইরান

নয়া দিগন্ত অনলাইন

ইরান আধুনিক সেন্ট্রিফিউজ নির্মাণের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক হলঘর নির্মাণ করেছে। ইরানের আণবিক শক্তি কমিশন বা এইওআই'য়ের প্রধান আলি আকবর সালেহি এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী নির্দেশে এটি তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত বিশেষ হলঘরটি এখন উৎপাদন চালানোর উপযোগী হয়েছে।


সালেহি আরো বলেন, বিরাজমান পরিস্থিতি বিচার করে ইরান সিদ্ধান্ত নেবে। এ ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তি চালিত জাহাজ তৈরি সংক্রান্ত ফরমান জারির বিষয়কেও উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। উভয় ক্ষেত্রেই ইরান ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ মেনে চলেছেন বলেও জানান তিনি।

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তেহরানের বিরুদ্ধে যেকোনো বিদ্বেষী আচরণের চরম জবাব দেয়া হবে। তিনি আরো বলেছেন, আঘাত করে বিনা জবাবে পার পাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে।

তিনি সোমবার তেহরানে এক বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। আলী শামখানি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আঘাত খেয়ে চুপ করে বসে থাকার দিন শেষ হয়ে গেছে। ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো ক্ষেত্রে বৈরী আচরণের দশগুণ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইরানের এই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ইরাকের কুর্দিস্তানে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে সম্প্রতি আইআরজিসি যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তা হচ্ছে ইরানের পাল্টা আঘাত হানার একটি সামান্য উদাহরণ।

তিনি ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের শক্তিমত্তা ও সম্মাজনক অবস্থান ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু যে ইরানি জাতি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অজন করেছে সে জাতি অর্থনৈতিক সমস্যাও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।


আরো সংবাদ



premium cement