২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুন্দরী নারী বেশি হলে ধর্ষণ বাড়বেই : রদ্রিগো দুতার্তে

সুন্দরী নারী বেশি হলে ধর্ষণ বাড়বেই : রদ্রিগো দুতার্তে - সংগৃহীত

 ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন; যা দেশটির নারী মানবাধিকার কর্মীরা ‘দায়িত্ব-জ্ঞানহীন’ বলে সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি দেশটির পুলিশ দুতার্তের নির্বাচনী এলাকা দাভাও শহরে বেড়ে যাওয়া ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সম্প্রতি এই প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফিলিপিনো এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারা (পুলিশ) বলেছেন, দাভাওয়ে প্রচুর ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সেখানে সুন্দরী নারী যতদিন বেশি থাকবে, ততদিন সেখানে ধর্ষণের ঘটনা আরো বেশি ঘটবে।’

ফিলিপাইনের ইংরেজি দৈনিক র‌্যাপলার বলছে, প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত মন্তব্যের শেষ এখানেই নয়। তিনি বলেন, ‘প্রথম অনুরোধে কেউ এই কাজে রাজি হয় না। নারীরা কি এতে রাজি হবেন? না, হবেন না। প্রথম চেষ্টায় কেউ সাড়া দেয় না। আর এটাই ধর্ষণ।’

প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির নারী মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। তাদের মতে, কৌতুকের ছলে প্রেসিডেন্ট যে ধরনের অশ্লীল মন্তব্য করেছেন তাতে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। ধর্ষণ নিয়ে দুতার্তের রসিকতার নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে মাঝে মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় আসেন। নিত্য নতুন বিতর্কিত সব মন্তব্যের কারণে বিশ্বজুড়ে পরিচিতিও রয়েছে তার। ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেন তিনি; এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

বেশিদিন বাঁচতে চাইলে জেলেই থাকুন : ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট
রাশিয়া টুডে, ২৫ মে ২০১৮

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে কারাবন্দী সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, তারা যদি বেঁচে থাকতে চায়, তাহলে কারাগারেই থাকাটাই ভালো হবে।

সম্প্রতি ম্যানিলায় এক বক্তৃতায় তিনি সেবু প্রদেশে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যারা সম্পদ গড়েছে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন। এ সময় হুমকির সুরে তিনি বলেন, ‘আমি যদি আপনাদের মতো কেউ হতাম, আমি জেলেই থাকতাম। বেশিদন বাঁচতে চান? জেলে থাকুন। প্রয়োজনে জেলে বেশিদিন কীভাবে থাকা যায় সেই উপায় খুঁজুন, কিন্তু কোনোভাবেই ওই স্থাপনা থেকে বের হবেন না। এটাই আপনার জন্য মঙ্গলজনক হবে।’

রদ্রিগো দুতার্তে বলেন, দেশের অবৈধ মাদক বাণিজ্য ও গ্যাং-ভিত্তিক অপরাধ নির্মূল করা হবে। অভিযান চলাকালে গ্রেফতারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার চেষ্টা কারীদের হত্যা করা হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িঘরে বোমা নিক্ষেপও করা হতে পারে। আমার নিজের ছেলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে আমি নিজেই তাকে খুন করতে দ্বিধা করব না।

ফিলিপাইনের পুলিশ বলছে, মাদক-বিরোধী অভিযানে ২০১৬ সালের জুলাইর পর থেকে ৪১০০ মানুষ মারা গেছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, প্রকৃত সংখ্যা আরো তিনগুণ। এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।


আরো সংবাদ



premium cement