১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লোম্বোক দ্বীপে একের পর এক ভূমিকম্প, নিহত ৫

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা - সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ লোম্বোকে রোববার একের পর এক ভূমিকম্পের আঘাতে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এসবের মধ্যে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬.৯। এতে সেখানের লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

রোববার দুপুরের আগে প্রথম যে ভূমিকম্প আঘাত হানে রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ছিল ৬.৩। এরপর পরপরই ভূমিধস ধসের ঘটনা ঘটে। এ সময় আতঙ্কিত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, প্রথম দফা ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ৬.৯ তীব্রতার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর সেখানে কমপক্ষে আরো পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

এর আগে গত ২৯ জুলাই ও ৫ আগস্ট দ্বীপকটিতে শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় পাঁচ শ’ লোক প্রাণ হারান এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।

স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থা মুখপাত্র আগুং প্রামুজা জানান, রোববারের ভূমিকম্পে লোম্বোকের পূর্বাঞ্চলে দু’জন এবং পার্শ্ববর্তী সুম্বাওয়া দ্বীপে তিনজন মারা যান।

পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় কর্মকর্তারা সুম্বাওয়া দ্বীপের একটি হাসপাতাল থেকে অনেক লোককে সরিয়ে নিয়েছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরোউ নুগরোহো জানান, লোম্বোকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভূমিকম্পের সময় প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।

ভূমিকম্পের সময় লিনা সেঙ্গিগি হোটেলের বেশ কয়েকজন বিদেশী অতিথি আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

হোটেলটির এক স্টাফ বলেন, ‘ভূমিকম্পের ফলে প্রচণ্ড শক্তিশালী ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয় এবং তা কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে।’

স্থানীয় দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থান মুখপাত্র আগুং প্রামুজা জানান, ভূমিকম্পে সেম্বালুনের বিভিন্ন এলাকায় অনেক বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা ধসে পড়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল