১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পদত্যাগ করছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট!

পদত্যাগ করছেন প্রেসিডেন্ট দুতার্তে! - সংগৃহীত

দুর্নীতি ও অবৈধ মাদক বন্ধে ব্যর্থতায় হতাশ ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। তাই শেষের আগেই পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি দুতার্তে একাধিকবার বলেন, ‘দুর্নীতি ও মাদক বন্ধ না হওয়ায় আমি হতাশ। তাই চলে যেতে চাই।’

তবে তার শর্ত হলো পদত্যাগের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ পেতে হবে ফিলিপাইনের সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিন্যান্দ মার্কোসের ছেলে মার্কোস জুনিয়রকে। ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেন ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে। বর্তমানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন লিনি রব্রেডো। দুতার্তের ভাষায় রব্রেডো ‘কাজের নয়।’

রব্রেডো বিরোধী দলের প্রধান। ২০১৬ সালের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অল্প ব্যবধানে মার্কোস জুনিয়রকে পরাজিত করেন। তবে ওই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এখনো মামলা চলছে আদালতে।

ফিলিপাইনের মরো মুসলিমদের স্বায়ত্তশাসন অনুমোদন করছেন দুতার্তে

আলজাজিরা, ২৩ জুলাই ২০১৮

প্রধানত খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ফিলিপাইনের একটি সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর নাম মরো। দেশটির এই মরো মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আইনগত ও ভৌগোলিকভাবে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে আইন পাস করছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতার্তে। ইতোমধ্যেই এই আইন অনুমোদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ সোমবার প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তে এই আইনে স্বাক্ষর করবেন বলে জানানো হয়েছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ‘বাংসামোরো অর্গানিক আইন’ অনুমোদনের মাধ্যমে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে মিন্দানাও দ্বীপে বাংসোমোরো স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে চলা দীর্ঘ পাঁচ দশকের সহিংস আন্দোলনের অবসান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে চলা এই আন্দোলনে এক লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অবশ্য সোমবার এই আইনে স্বাক্ষর করা হলেও এটি কার্যকর করতে দুতার্তে সরকারকে গণভোটের আয়োজন করতে হবে এবং সেখানে আইনের পক্ষে ভোট বেশি পড়লে তবেই এটি কার্যকর করা সম্ভব হবে। আইনের অনুমোদনের জন্য এই বছরের শেষের দিকে ফিলিপাইনে গণভোট আয়োজন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফিলিপিনো ‘বাংসোমোরো’ শব্দের অর্থ ‘নেশন অব দ্য মরো’ বা ‘মরো জাতির দেশ’। এতদিন এই মুসলিম ভূখণ্ডকে নামমাত্র স্বায়ত্তশাসন দেয়া হলেও মূলত ম্যানিলা থেকেই মিন্দানাও দ্বীপ শাসন করা হতো। ফলে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে চলা মরো বিদ্রোহীদের আন্দোলন কখনোই হ্রাস পায়নি বা দমন করা সম্ভব হয়নি। নতুন স্বায়ত্তশাসন আইনের অধীনে বাংসোমোরো সরকার নিজেরাই একটি পার্লামেন্ট চালাতে পারবে। পাশাপাশি স্থানীয় রাজস্বের বেশির ভাগ অংশই বাংসোমোরো সরকার ধরে রাখতে পারবে এবং সরকারি রাজস্বের একটি ভাগ কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মিত প্রদান করবে। এ ছাড়া এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের সকল কর্তৃত্ব বাংসোমোরো সরকারের হাতে থাকবে।

এমনকি বাংসোমোরো সরকার এই অঞ্চলের বিচার ব্যবস্থায় ইসলামি আইনও সংযুক্ত করতে পারবে। অপর দিকে স্বায়ত্তশাসনের বিনিময়ে মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্টের (এমআইএলএফ) হাজার হাজার যোদ্ধার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা শক্তিশালী সামরিক বাহিনী ভেঙে দিতে হবে।

অবশ্য এর আগে ২০১৪ সালে বিদ্রোহী ও সরকারের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়। ২০১৪ সালের সেই শান্তিচুক্তি থেকে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ এই আইনে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এমআইএলএফ নেতারা এই আইনের ব্যাপারে সন্তুষ্ট বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এমআইএলএফের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড গাজালি জাফর বলেন, ‘এটা হয়তোবা সর্বোৎকৃষ্ট আইন নয়; কিন্তু সূচনা হিসেবে এটা ভালো। আল্লাহ চাইলে আমরা এই সরকারের সাথে আছি এবং আমাদের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে আমরা কাজ করব।’


আরো সংবাদ



premium cement