২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দক্ষিণ চীন সাগরে আকস্মিক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে : দুতার্তে

দক্ষিণ চীন সাগরে আকস্মিক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে : দুতার্তে - ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা সরকারকে সংযত আচরণ করতে বলেছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তে। তিনি বলেছেন, ‘চীন সংযত আচরণ না করলে যেকোনো সময় চলমান উত্তেজনা আকস্মিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।’
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার মালাকানাং প্যালেসে মঙ্গলবার ভাষণ দেয়ার সময় দুতার্তে জানান, তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ অঞ্চলটি যুদ্ধের সূতিকাগারে রূপান্তরিত হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, চীন অন্তত তাদের আচরণ সংযত করবে। আমি চীনের সাথে ঝগড়া করতে চাই না।’

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে কয়েক দশক ধরে আঞ্চলিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে ফিলিপাইন ও চীন। তা ছাড়া এ সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সাথে ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইরও দ্বন্দ্ব রয়েছে। দণি চীন সাগরের অধিকাংশ এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে আসছে বেইজিং। সেখানে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে তারা স্প্রাটলি ও প্যারাসেল নামের দু’টি কৃত্রিম দ্বীপ প্রতিষ্ঠা করেছে।

পুলিশের গুলিতে ৭ সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নিহত
এ দিকে সিনহুয়া জানায়, ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে গতকাল বুধবার পুলিশের সাথে সংঘর্ষে সাত সন্দেহভাজন বামপন্থী বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। দেশটির পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে এন্টিক প্রদেশের সানজোস শহরের একটি গ্রামে উভয় পরে মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। নিউ পিপল’স আর্মির (এনপিএ) বিদ্রোহীরা পুলিশের একটি দলকে ল্য করে গুলি ছুড়লে উভয়পে মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

আরো পড়ুন :

ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধ বা আলোচনা হবে না : খামেনি
পার্স টুডে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে যেমন যুদ্ধ হবে না তেমনি তাদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসবে না তেহরান। সোমবার ইরানের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কয়েক মানুষের সঙ্গে তেহরানে এক মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ হবে না। কারণ আমরা অতীতের মতোই কখনো আগে যুদ্ধ শুরু করব না। এ ছাড়া, মার্কিনিরাও আগে হামলা শুরু করবে না। কারণ সে ক্ষেত্রে তারা শতভাগ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ইরানের জনগণ প্রমাণ করেছে, তারা যেকোনো আগ্রাসী শক্তিকে দঁতিভাঙা জবাব দেয়।

আলোচনার ব্যাপারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, নিখুঁত বিশ্লেষণ, অতীত অভিজ্ঞতা এবং একটি প্রতারক ও আধিপত্যকামী শক্তির সঙ্গে আলোচনার ক্ষতির কথা বিবেচনা করে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বসব না। যদি কখনেঅৈ আমরা আলোচনায় বসতে রাজি হই তবে তা বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে হবে না।

পরমাণু সমঝোতাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পরিণতির সুস্পষ্ট নমুনা হিসেবে উল্লেখ করে খামেনি বলেন, তাদের সঙ্গে বিশ্বের যে দেশই আলোচনায় বসেছে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যদি আলোচনায় বসা দেশটি আমেরিকার তাঁবেদার হয় তাহলে ভিন্ন কথা। কিন্তু মার্কিন সরকার সম্প্রতি ইউরোপীয়দের সঙ্গেও অসদাচরণ করেছে।

উল্লেখ্য, জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি অনুযায়ী তেহরান মধ্য-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পরিত্যাগ ও নি¤œ-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমাতে সম্মত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাইরে থেকে জ্বালানি সরবরাহের শর্তে ইরান ইউরেনিয়াম উৎপাদন বন্ধ রেখেছিল ইরান। কিন্তু গত মে মাসে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্য দেশ ও সংস্থা চুক্তিটি বহাল রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করা অন্য দেশগুলো হলো চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

৭ আগস্ট ইরানের স্বর্ণ ও অন্য মূল্যবান ধাতু বাণিজ্যকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী নভেম্বর থেকে ইরানের ওপর দ্বিতীয় পর্যায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement