২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘ফিরে যাও, নইলে ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে’

মার্কিন টহল বিমান থেকে নজরদারি তদারকি করছেন এক কর্মকর্তা - ছবি : সংগ্রহ

বিতর্কীত অঞ্চল দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে টহল দেয়ার সময় মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানকে ছয়বার সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে চীনা সামরিক
বাহিনী। বলেছে, ‘দ্রুত ফিরে যাও, নইলে যেকোনো সময় ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। কোন কিছু ঘটলে দায় তোমাদের’।

সম্প্রতি ওই অঞ্চলে টহলে যায় মার্কিন নৌবাহিনীর বিমান ‘পি-৮এ পোসাইডন’। এই টহলে তাদের সাথে ছিলো সাংবাদিকদের একটি দল।  বিমানে ছিলেন এমন এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, শুক্রবারের টহলের সময় এ ঘটনা ঘটে।

দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় ১৪ লাখ বর্গমাইল এলাকার মালিকানা নিয়ে চীনের সাথে কয়েকটি দেশের বিরোধ রয়েছে। মালিকানার দাবিদার
দেশগুলোর মধ্যে আছে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও তাইওয়ান। কিন্তু চীন এই বৃহৎ সমুদ্রসীমার প্রায় পুরোটাই নিজেদের দাবি করে আসছে।

বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলো হলো স্পার্টলি, প্যারাসেল ও স্কেয়ারবোরো দ্বীপপুঞ্জ। এর মধ্যে স্পার্টলিতে বেশ কয়েকটি কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়েছে চীন। এ ছাড়া দখলকৃত দ্বীপে তারা সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে বলেও দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা অভিযোগ করে আসছে। এ বিষয়ে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় বিতর্কিত অঞ্চলে নিয়মিত টহল দেয় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। গতকাল শুক্রবারও টহলে যায় তাদের পি-৮এ পোসাইডন। এই বিমানে ক্রুদের সঙ্গে ছিলেন মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক সাংবাদিকও।

সিএনএনের এক রিপোর্টে বলা হয়, বিমানটি প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ ফুট ওপর দিয়ে উড়ছিল। এটি স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের চারটি প্রবাল প্রাচীর অতিক্রম করে। এগুলো হলো সুবি রিফ, ফ্লেরি ক্রস রিফ, জনসন রিফ ও মিশেফ রিফ। এগুলোর একটি জায়গায় পাঁচতলা একটি ভবন দেখা গেছে। আছে রাডার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিমানের রানওয়ে। ওই রানওয়ে এতটাই পরিকল্পিতভাবে বানানো যে এর মাধ্যমে যেকোনো যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন অথবা অবতরণ করতে পারবে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পি-৮এ পোসাইডনকে উদ্দেশ করে ছয়টি সতর্কবার্তায় পাঠায় চীনের সামরিক বাহিনী। বলা হয়, ‘তোমরা চীনের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছ। এই মুহূর্তে ফিরে যাও; নইলে যেকোনো সময় ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে।’

চীন যতবারই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে, ততবরাই একই জবাব দিয়েছেন পি-৮এ পোসাইডনে থাকা মার্কিন নৌ সদস্যরা। তাঁরা বলেন, ‘আমি
স্বাধীন ও সার্বভৌম যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌবিমান। আমি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় আইন মেনেই টহল কার্যক্রম চালাচ্ছি। আর আন্তর্জাতিক
আইন আমাকে এই টহল দেওয়ার অধিকার দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, ভূরাজনীতি কিংবা কূটনীতি—সব ক্ষেত্রেই দক্ষিণ চীন সাগর খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক সমুদ্রসীমা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জাহাজপথে বিশ্বে যে পরিমাণ বাণিজ্য হয়, তার এক-তৃতীয়াংশই হয় দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে। এ ছাড়া সাগরের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের মজুদ রয়েছে। এসব কারণেই এর মালিকানা নিয়ে এত বিরোধ।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিও এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমান থেকে দ্বীপগুলোর ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। সেখানে এমনও দেখা গেছে, দ্বীপগুলোতে স্থাপিত রানওয়ে দিয়ে গাড়ি চলছে, সেখানে কোন বিমান দেখা যায়নি। অনেক ওপর থেকে হলেও দৃশ্যগুলো এতটাই স্পষ্ট যে, বিমানের ক্রুরা গাড়ির সংখ্যাও গুনছেন। তবে এই ভিডিওটি কোন দেশের বিমান থেকে ধারণা করা হয়েছে সেটি জানা যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ

সকল