২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম : ক্ষমা চাইল জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়

ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম করে ক্ষমা চাইল বিশ্ববিদ্যালয় - ছবি : সংগ্রহ

ভর্তি পরীক্ষায় কারসাজি করে ধরা খেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে জাপানের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় টোকিও মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি(টিএমইউ)। এক যুগ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টির কতৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রী ভর্তিচ্ছুদের ইচ্ছেকৃতভাবে ফেল করিয়ে ভর্তির অযোগ্য তালিকায় রাখতো।

কম ছাত্রী ভর্তি করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। এক তদন্তে ধরা পড়েছে বিষয়টি। তদন্তে আরো জানা গেছে যেসব ছাত্ররা অন্তত চারবার সেখানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে পারেনি তাদেরও ফেল করিয়ে দিতো পরীক্ষকরা। ২০০৬ সাল থেকে এই অপকর্ম করে আসছিলো তারা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছে এমন ১৯ ভর্তিচ্ছুকে বাড়তি নম্বর দিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ক্ষমা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলেছে, ভবিষ্যতে আর এমনটি হবে না। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তেতসু ইউকিয়োকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা জনগনের আস্থার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। এজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই সকলের কাছে’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেইসুকি মিয়াজাওয়া অঙ্গীকার করেছে, আগামী বছর থেকে পরীক্ষা স্বচ্ছ হবে। গত সপ্তাহে সর্বপ্রথম এই কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হয়েছিলো দেশটির জনপ্রিয় পত্রিকা ইয়োমিউরি শিমবুন-এ। রিপোর্টে অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রীদের ফেল করিয়ে দেয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি নিরব বোঝাপড়া ছিলো। তাদের ধারণা ডাক্তারি পাশ করলেও নারীরা পরবর্তী জীবনে এই পেশায় থাকে না। সূত্রটি বলেন, ‘অনেক ছাত্রী এখান থেকে ডিগ্রি নিয়ে চিকিৎসা পেশায় না থেকে সন্তান জন্ম ও লালন পালনে সময় পার করে’। তাই ছেলে ভর্তিচ্ছুদের অগ্রাধিকার দিতো তারা।

এই রিপোর্ট প্রকাশের পর শুরু হয় তদন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ তদন্তে ধরা পড়ে বিষয়টি পত্রিকাটির রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, এ বছরের শুরুতে দুই দফা ভর্তির আবেদন থেকে মাত্র ৩০ ছাত্রীকে ভর্তি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি, বিপরীতে ছাত্র নিয়েছে ১৪১ জন।

 

আরো পড়ুন : সৌদি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিল মালয়েশিয়া
চালু করার ১৩ মাসের মাথায় সৌদি আরবের একটি সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটির সরকার বলেছে, দ্রুত প্রতিষ্ঠানটিকে সব কিছু নিয়ে চলে যেতে হবে মালয়েশিয়া থেকে।

মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত সৌদি বাদশার সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিষ্ঠান 'দ্য কিং সালমান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস' (কেএসসিআইপি) বন্ধ ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া সরকার। জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষমন্ত্রী মোহাম্মদ সাবু। তবে কেন, আর কী কারণে এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তা বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।


দেশটির সদ্যবিদায়ী নাজিব রাজাক সরকারের সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাম উদ্দীন হুসেইন সৌদি সমর্থিত এ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। ২০১৭ সালে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেছিলেন। 
কুয়ালালামপুরে একটি অস্থায়ী ভবনে এর কার্যক্রম চলছিল, যা খুবই দ্রুত পুত্রজায়াতে একটি স্থায়ী ভবনে স্থানান্তর হওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠার এক বছরের কিছু সময় পরেই সেটি বন্ধ করে দিল মালয়েশিয়ার নতুন সরকার।

কয়েক মাস আগে দেশটির জাতীয় নির্বাচনে নাজিব রাজাক সরকারের বিদায়ের পর মাহাথির মুহাম্মদের নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে আনোয়ার ইব্রাহিমের দল। এরপরই ইয়েমেন সৌদি জোটের আগ্রাসন নিয়ে সরব হয় মালেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাবু। মালয়েশিয়ার সেনাদের তিনি সৌদি জোটে থাকার বিষয় নতুন করে ভাবা হবে বলে ঘোষণা দেন। এর আগে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর নাজিব রাজাক সৌদি আরবে সেনা পাঠান। মালয়েশিয়ার ঠিক কী পরিমাণ সেনা সৌদিতে পাঠানো হয়েছিল তার প্রকাশ করা হয়নি।

মালয়েশিয়া বলছে, ইয়েমেন থেকে মালয়দের নিরাপদে বের করে আনার জন্য তারা সৌদি জোটে সৈন্য পাঠিয়েছিলো্। পরবর্তীতে ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনের ফলে সেখানে মালয়েশিয়ার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত চরম বিতর্কের মুখে পড়ে। দেশটির সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকারকর্মীরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে।

তবে বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সৌদি আরবে মালয়েশিয়ার যেসব সেনা রয়েছে তারা কোনো দেশের ওপর হামলায় অংশ নেয় না। উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে সেনা অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশটির বহু মানুষ নিহত হয়েছে। কয়েকবার সেখানে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement