২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভূমিকম্পের মধ্যেও নামাজ ছাড়েননি ইমাম

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ভূমিকম্পের সময় মসজিদে নামাজ পড়াচ্ছিলেন ইমাম - ছবি : সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার লম্বক দ্বীপে রোববার রাতের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া এ ভূমিকম্পে কয়েক শ’ মানুষ আহত হয়েছেন। রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পে হাজার হাজার ভবন ভেঙে পড়েছে এবং বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ যোগাযোগ।

এ দিকে এ ভূমিকম্পের সময়কার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মসজিদের একজন ইমাম নামাজ পড়াচ্ছেন। হঠাৎ তীব্র মাত্রার ভূকম্পন শুরু হলে পেছন থেকে কয়েকজন মুসল্লি দৌড়ে পালিয়ে যান; কিন্তু ইমাম তার নামাজ চলমান রাখেন। ভূমিকম্পের মাত্রা আরো বেড়ে গেলে তিনি ভারসাম্যের জন্য পাশের দেয়ালে হাত দেন; কিন্তু তারপরও শেষ পর্যন্ত নামাজ চলমান রাখেন তিনি।
ফেসবুক পেজ ‘ইল্মফিড’ ভিডিওটি শেয়ার করার সাথে সাথে তা ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে এটিকে ঈমানের পরীক্ষা বলেও আখ্যায়িত করেছেন। ইল্মফিডের শেয়ার করা ভিডিওতেই অনেকে এ মন্তব্য করেছেন। আহমদ এম মারর্সি নামে একজন লিখেছেন, পেছনের দু’জন পালিয়ে গিয়েছিল। তারা আবার ফিরে এসেছে যখন দেখেছে ইমাম নামাজ পড়েই চলেছেন। মাশাআল্লাহ, তার মনোবলের প্রতি শ্রদ্ধা। সোফিয়া ফরিদ নামে একজন লিখেছেন, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এমন প্রশ্নাতীত বিশ্বাসের জন্য আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করুন। আমিন।

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। কারণ এটি পৃথিবীর রিং অব ফায়ারের ওপর অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই অঞ্চলে ঘন ঘন ভূকম্পন এবং আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত দেখা যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলো এই রিংয়ে রয়েছে।

আরো পড়ুন :

ভূমিকম্পে নিহত ১৪২
ইন্দোনেশিয়ার লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪২ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জরুরি দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। শত শত মানুষ ভূমিকম্পে আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর। ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে হাজার হাজার ইমারত ভেঙে পড়েছে এবং বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ যোগাযোগ।


ভিডিওতে দেখা যায়, রোববার রাতে ভূ কম্পন শুরু হলে পার্শ্ববর্তী দ্বীপের লোকজন আতঙ্কে বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে ছুটোছুটি করছে।

পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় লম্বক দ্বীপে এক সপ্তাহ আগের আরেকটি ভূমিকম্পে ১৬ জন নিহত হন।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, সর্বশেষ ভূ-কম্পনটির কেন্দ্র ছিল ভূ-গর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে । ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও কয়েক ঘণ্টা পর তা তুলে নেয়া হয়।

পরে লম্বক এবং বালির রাস্তায় রাস্তায় ভেঙে পড়া বাড়ি ঘরের ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করতে সাধারণ মানুষকে কাজে নামতে দেখা যায়।

নিরাপত্তা বিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়া সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে. শানমুগাম ভূমিকম্পের সময় লম্বকে ছিলেন।

ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, যেভাবে তার হোটেল কাঁপছিল, তার দাঁড়িয়ে থাকাটা রীতিমত অসম্ভব মনে হয়েছিল।
অল্প কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও বালি এবং লম্বক দুই দ্বীপের বিমানবন্দরেই বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে কারণ এটি পৃথিবীর রিং অব ফায়ারের ওপর অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই অঞ্চলটিতে ঘন ঘন ভূকম্পন এবং আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত দেখা যায়।

সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলো এই রিং-এ রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement