দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করলো রাশিয়ার এসইউ-৩৫
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ জুলাই ২০১৮, ১০:৪৮
দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে রাশিয়ার দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তাকে তলব করেছে সিউল। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রুশ দূতাবাসের সামরিক প্রতিনিধি আন্দ্রে ফালিলিভকে তলব করে বিনা অনুমতিতে কোরিয়া এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে রাশিয়ার দুটি বিমান প্রবেশের প্রতিবাদ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কোরিয়া এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে রুশ সামরিক বিমানের প্রবেশ কোরীয় উপদ্বীপে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে সাহায্য করবে না। যেহেতু মধ্য আকাশে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে সে কারণে রাশিয়াকে বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে দেখার অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রুশ দূতাবাসের কূটনীতিক ম্যাক্সিম ভলকোভকে ডেকেও এ ঘটনার প্রতিবাদ করে এবং যাতে ভবিষ্যতে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানায়। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা রুশ বিমানের এমন আচরণে দুঃখ প্রকাশ করেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান জাপান সাগর, পীত সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের আন্তর্জাতিক সীমানার উপর দিয়ে উড়েছে এবং এ সময় দুটি এসইউ-৩৫ জঙ্গিবিমান এস্কর্ট দেয়।
রুশ সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রুশ বিমানগুলোকে দক্ষিণ কোরিয়ার এফ-১৫ এবং এফ-১৬ বিমান এস্কর্ট করে। কিছু সময় জাপানের এফ-২এ বিমানও এস্কর্ট করে নিয়ে যায় রুশ বিমানকে।
এবার ঘরে ফিরে যাবে মার্কিন সেনারা, উদ্বিগ্ন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া
কেসিএনএ ও ফক্স নিউজ, ১৪ জুন ২০১৮
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ অবিলম্বে শুরু হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ট্রাম্প-কিম শীর্ষ সম্মেলনকে শান্তির পথে মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসঙ্ঘ। এ সম্মেলনকে সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে ভালো কিছু অর্জনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখছে ইইউ।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধে ট্রাম্পের ঘোষণায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে বলে মনে করছে জাপান।
ট্রাম্প কিম শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে অর্জন হয়েছে অনেক কিছু। উত্তর কোরীয় সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন রাজী হয়েছেন পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে। আর কিম বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন, সম্মেলন শেষে তা বন্ধ করার ঘোষণাও দেন ট্রাম্প।
এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হবে না, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন সেনারা ঘরে ফিরে যাবে। তবে দক্ষিণ কোরীয়রা এ সিদ্ধান্তে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অনেকেই সমালোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়া শুরু হয়েছিলো উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলার জন্য। তারা যদি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হয় তবেতো আর এ মহড়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রতিবেশী দেশ জাপানও কিছুটা উদ্বিগ্ন ট্রাম্পের এমন ঘোষণায়। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য এ যৌথ মহড়াকে জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
তবে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া বন্ধের ঘোষণা দেয়ায় ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ। এতে বলা হয় ট্রাম্প সামরিক মহড়া বন্ধে এবং উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন, পাশাপশি অবরোধ তুলে নেবেন বলেও জানিয়েছেন। এতে আরও বলা হয় পিয়ংইয়ং সফরে কিমের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প।
এদিকে ট্রাম্পও জানিয়েছেন কিম ওয়াশিংটন সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। খুব শিঘ্রই উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ শুরু করবে বলে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিমের সঙ্গে হওয়া সম্মেলন নিয়ে কথা বলার সময় জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, 'আমি চেয়ারম্যান কিম জং উনকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ কতটা জরুরি, তিনি বুঝেছেনও।'
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা