২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিদায় বেলায় অসুস্থ স্ত্রীর পাশে দাড়িয়ে কাঁদলেন নওয়াজ

বিদায় বেলায় অসুস্থ স্ত্রীর পাশে দাড়িয়ে কাঁদলেন নওয়াজ - সংগৃহীত

গ্রেফতারের আশঙ্কা নিয়ে লন্ডন থেকে লাহোরে রওনা হওয়ার আগে অসুস্থ স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এসময় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা স্ত্রী কুলশুম নওয়াজের কপালে হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নওয়াজ। হাসপাতালে তার সাথে ছিলেন মেয়ে মরিয়ম।

হাসপাতালের এই বেদনা বিধুর ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক। এই ছবি প্রকাশের পর পাল্টা আরেকটি টুইটে মরিয়ম ছবির বর্ণনায় লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আসার আগে বাবা নওয়াজ শরীফ হাসপাতালে মা বেগম কুলসুমের কপালে হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।’

কুলসুম নওয়াজ লন্ডনের হারলে স্ট্রীট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘কুলসুম নওয়াজের স্বাস্থ্য ‘খুবই সঙ্কটাপন্ন’। গত একমাস ধরে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

পাকিস্তানি সাংবাদিক সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই ছবিটি ভবিষতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলিল হবে’। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা এই ছবিটি অনেক পাকিস্তানি শেয়ার করেছেন। কেউ কেউ ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এটাই সবচেয়ে বেদনার ছবি’।

একজন লিখেছেন, ‘এই ছবিটি শত বছর পরেও পাকিস্তানের ইতিহাসে কুৎসিত ছবি হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’

গ্রেফতারের আতঙ্ক নিয়ে দেশে আসা প্রসঙ্গে নওয়াজ শরীফ বলেন, ‘মরিয়ম এবং আমি কারাবরণ করতে দেশে ফিরছি, আদালত যদি আমাকে ফাঁসির আদেশ দিত তাহলেও আমি দেশে ফিরতাম। আমরা জানি আত্মত্যাগ ছাড়া কখনো স্বাধিনতা পাওয়া যায় না। হাসপাতালে স্ত্রীকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক কঠিন। তবে দেশকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে আমি এবং আমার মেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

শুক্রবার লন্ডনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ কর্তৃক আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে নওয়াজ বলেন, ‘কারাবরণ নিশ্চিত যেনেও আমি পাকিস্তানে যাচ্ছি।’


আরো সংবাদ



premium cement