চীনা লেজার গানে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে সবকিছু
- সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
- ১১ জুলাই ২০১৮, ১৫:২৪
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে সামরিক সক্ষমতাও ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে চীন। এবার এক বিস্ময়কর অস্ত্র তৈরি করছে শি জিনপিংয়ের দেশ। রাইফেলের আদলে তৈরি অস্ত্রটি আদতে একটি লেজার গান। এ অস্ত্র থেকে নির্গত শক্তিশালী লেজার রশ্মি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আঘাত হেনে মারাত্মকভাবে পুড়িয়ে দিতে বা আগুন ধরিয়ে দিতে পারে।
অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে এটিই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক হাতে বহনযোগ্য অস্ত্র, যার নাম দেয়া হয়েছে জেডকেজেডএম-৫০০। পরপর ১০০০ বার ফায়ার করা যাবে এটি থেকে। এটি ফায়ারের সময় লাগবে ২ সেকেন্ড। গাড়ি কিংবা জাহাজেও লাগানো যাবে এই অস্ত্রের কিছুটা ভিন্ন সংস্করণ।
চীনের মারাত্মক এই সর্বাধুনিক অস্ত্র এক কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো ব্যক্তিকে মেরে ফেলতে পারে। আর এ জন্য প্রয়োজন হবে মাত্র একটি আলোকরশ্মি, যা খালি চোখে দেখাও যাবে না। প্রয়োজন হবে না কোনো গুলির। শুধু ব্যাটারির চার্জেই চলবে এ অস্ত্র। অস্ত্রটির ওজন হবে আনুমানিক তিন কেজি। আর আয়তনে হবে অনেকটা একে ৪৭ রাইফেলের মতো। অস্ত্রটি থেকে নিক্ষিপ্ত বিম ঢুকে যাবে শত্রুর শরীরে। তারপর কষ্টদায়ক মৃত্যু ডেকে আনবে।
আরো পড়ুন :
চীনের সাথে উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
এএফপি
তাইওয়ান প্রণালীতে শনিবার দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর এক দিন পর এ ঘটনা ঘটল। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর এ খবর জানিয়েছে। ফলে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনায় আরো মাত্রা যোগ হলে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন ও তাইওয়ানকে আলাদা করা নৌসীমায় শনিবার সকালে দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করে। ইউএসএস মাস্টিন ও ইউএসএস বেনফোল্ড নামের জাহাজ দু’টি শনিবার রাতেও আন্তর্জাতিক নৌসীমা হিসেবে পরিচিত এলাকায় অবস্থান করছিল বলে নিশ্চিত করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার আত্মবিশ্বাস তাদের রয়েছে বলেও দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন চারলি ব্রাউন বলেছেন, যুদ্ধজাহাজ দু’টি ওই এলাকা অতিক্রম করছে। তবে এর কৌশলগত তাৎপর্য নিয়ে তিনি কিছু জানাননি। তিনি বলেন, ‘মার্কিন নৌজাহাজগুলো দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে যেতে তাইওয়ান প্রণালী ব্যবহার করেছ। বহু বছর ধরেই এটি করা হয়ে থাকে।’ তবে এমন এক সময়ে এই যুদ্ধজাহাজ ওই নৌসীমায় প্রবেশ করল যেদিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আবার একই সময়ে বেইজিং ও তাইপের মধ্যেও চলছে উত্তেজনা।
শুক্রবার ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছেন মার্কিন প্রেসেডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে। বেইজিং একে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ‘বাণিজ্যিক যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছে।
স্বায়ত্তশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও তাদের একত্র রাখতে চায় বেইজিং।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা