২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দক্ষিণ চীন সাগরে জাপানি রণতরী, নেপথ্য কারণ

দক্ষিণ চীন সাগরে জাপানি রণতরী, নেপথ্য কারণ - দক্ষিণ চীন সাগরে জাপানি রণতরী, নেপথ্য কারণ

দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে হেলিকপ্টারবাহী বড় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে জাপান। বার্ষিক ভ্রমণের মাধ্যমে কৌশলগত সামুদ্রিক অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর অংশ হিসেবেই এ পদপে নিচ্ছে দেশটি। আগামী সেপ্টেম্বরে যুদ্ধজাহাজটি তার দুই মাসের ভ্রমণ শুরু করবে। জাপানের দুই কর্মকর্তা এ খবর জানিয়েছেন। দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই এলাকাটিতে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে জাপান। 

ওই অঞ্চলেই জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথের অবস্থান। গত বছরও দণি চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল তারা। জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনার সাথে সরাসরি জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমর্থনে জাপানে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এটি করা হচ্ছে’। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি আরো জানায়, ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে ‘কাগা’ নামের যুদ্ধজাহাজটি থেকে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার একযোগে উড্ডয়ন করতে পারে। জাহাজটি ইন্দোনেশিয়াসহ দণি-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে থামবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার বন্দরেও যাত্রাবিরতি করবে জাহাজটি।

দণি চীন সাগরের বেশির ভাগ এলাকা নিজেদের দাবি করে থাকে চীন। তারা সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করছে। তবে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই এটি করা হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে চীন। এ ছাড়া ভারত মহাসাগরেও নৌবাহিনীর অভিযান জোরদার করেছে চীন। নৌচলাচল অবাধ রাখা নিশ্চিত করার কথা বলে দণি চীন সাগরে নিয়মিত বিমান ও নৌ-টহল চালিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র হাওয়াইয়ে তাদের ‘প্যাসিফিক কমান্ড হেডকোয়ার্টার্সের নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড’ রেখেছে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তর আঞ্চলিক কৌশলের ইঙ্গিত হিসেবেই তা করা হয়েছে। দণি চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ নৌচলাচল কার্যক্রমে জাপান অংশ নেয়নি। কারণ তা পশ্চিম চীন সাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে চীনকে উসকানি দিতে পারে। সেখানে জাপানের ‘সেনকাকু’ ও চীনের ‘দিয়াউ’ দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

জাপানি কর্মকর্তারা বলেন, সামরিক জাহাজ কাগার সাথে একটি প্রহরী জাহাজও থাকবে। এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের যুদ্ধজাহাজ মিলিয়ে সামরিক মহড়ায়ও অংশ নিতে পারে জাহাজটি। তবে জাপানের সমুদ্র প্রতিরা বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, তিনি ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। 

বাণিজ্য নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও তাইওয়ানের স্বায়ত্তশাসনের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহের মধ্যেই গত মাসে চীন সফর করেন মার্কিন প্রতিরামন্ত্রী জিম ম্যাটিস। ওই সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের এক ইঞ্চিও ছাড় দেবো না। একই সাথে অন্য কারো ছোট অংশও আমরা দখল করব না।’ তিনি বলেন, প্রশান্ত মহাসাগর এত বড় যে যুক্তরাষ্ট্র বা চীনসহ সবাই এর সুবিধা ভোগ করতে পারে।

অসুস্থতার পর আবারো দায়িত্ব পালন শুরু জাপান সম্রাটের
বয়সের ভারে ন্যূব্জ জাপান সম্রাট আকিহিতো বৃহস্পতিবার তার দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহের স্বল্পতাজনিত অসুস্থতার জন্য তিনদিন চিকিৎসা নেয়ার পর তিনি আবারো কাজ শুরু করলেন। রাজপ্রাসাদের মুখপাত্র একথা জানান। খবর এএফপি’র।
৮৪ বছর বয়সী এ সম্রাট মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাবজনিত কারণে গত সোমবার থেকে তার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকেন। সাধারণত মস্তিষ্কে রক্ত স্বল্পতার কারণে এমনটা হয়ে থাকে।

প্রাসাদের মুখপাত্র জানান, সম্রাট বৃহস্পতিবার তার সরকারি প্রাত্যহিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

বুধবার প্রাসাদ সূত্র জানিয়েছিল, আকিহিতোর স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement