১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধর্ষণ আতঙ্কে গার্মেন্টসের নারীরা

ধর্ষণ আতঙ্কে গার্মেন্টসের নারীরা - সংগৃহীত

মিয়ানমারের নারী গার্মেন্টস শ্রমিকরা এখনও ধর্ষণ ও ডাকাতির আতঙ্কে আছে। মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তান- এ তিন দেশে নারী শ্রমিকদের ওপর চালানো এক গবেষণা জরিপে এ তথ্য জানা গেছে। গবেষণার কাজটি করেছে আইএমসি ওয়ার্ল্ডওয়াইড, পোর্টসমাউথ ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর রিসার্চ নামের তিন সংস্থা।

ইয়াঙ্গুনের নারী গার্মেন্টস শ্রমিকরা জানিয়েছে- তারা কাজের জন্য যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে অনিরাপদ; যা এই খাতের উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।  ‘নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সামাজিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে; যা দেশব্যাপী নারীদের হুমকিস্বরূপ।’

২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে চালানো ওই গবেষণায় তিন দেশের নারী, কর্ম পরিবেশ ও তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে প্রধান্য দেয়া হয়। গবেষণায় নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কমাতে কর্ম পরিবেশ বিশেষ করে মধ্য আয়ের নারীদের চলার পথে সামাজিক বাধা-বিপত্তি প্রশমনে সংস্কার দরকার বলে সুপারিশ করা হয়।

পোর্টসমাউথের এক গবেষক জানান,  নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি ভাবা উচিত যে কর্মক্ষেত্রে নারীরা কতটা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

মিয়ানমারের শ্রমবাজারের তথ্য অনুযায়ী, পোশাক, ফুটওয়্যার ও টেক্সটাইল শিল্পে দেশটি এগিয়ে যাচ্ছে; যেখানে আনুপাতিক হারে কম বেতনের নারী শ্রমিকদের বৈষম্য বাড়ছে। খাতটির সঙ্গে জড়িত প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। যেখান থেকে দেশটির রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ আয় আসে।

অনেক নারী শ্রমিকের পরিচয়পত্র বা লেবার কার্ড দেয়া হয়। এর অর্থ তারা অফিশিয়ালি কর্মী নয়। ফলে তারা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।

গার্মেন্টস শ্রমিকরা জানান, তারা গার্মেন্টস কারখানা ও তার আশপাশের এলাকায় চলাফেরা করতে অনিরাপদ বোধ করেন। অনেক ক্ষেত্রে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

এক নারী শ্রমিক বলছিলেন, কাজে যাওয়ার সময়ই ভয় শুরু হয়। তখন ভাবি কীভাবে বাসায় ফিরবো? ফেরার পথে যখন অন্ধকার বাড়ে, তখন ভয় বা উদ্বেগটাও বাড়ে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্য ধর্ষণ ও ডাকাতির ভয় ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশেষ করে যাদের দীর্ঘ সময় কাজ করতে হয় এবং অন্ধকারে ফিরতে হয় তাদের বেলায় বেশি। এতে তারা হতাশায় ভোগেন।

ডুবছে মিয়ানমার, ৪০ বছরের মধ্যে বড় দুর্যোগ
এএফপি, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও মিয়ানমার টাইমস

দীর্ঘ ৪০ বছর পর বড় ধরনের বন্যার কবলে পড়েছে মিয়ানমার। কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিপাতে দেশটির মন রাজ্যের মাওলামাইন শহরসহ কয়েকটি শহর ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। হালের গরু, গোলার ধান - সব ভেসে গেছে। মিয়ানমারের মাওলামাইন গ্রামের প্রায় সব পরিবারেরই এখন করুণ অবস্থা বিরাজ করছে।

এতে কয়েক হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছড়াতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে পানিতে ভাসছে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যখ্যাত সাতটি রাজ্যের মধ্যে আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর ও মিজোরাম।

বেশির ভাগ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। চার লাখেরও বেশি মানুষ প্রবল বন্যায় ঘরছাড়া। আবহাওয়া দফতর থেকে আরও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। 

রোববার কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টির পর মন রাজ্যের কয়েকটি শহর ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়। মাওলামাইন শহরের এক অধিবাসী থেইন হ্লা বলেন, গত ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম আমি বন্যা দেখছি। এদিকে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আসাম।

শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আসাম রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) হিসাব অনুযায়ী রাজ্যের সাতটি জেলার ৬৬৮টি গ্রামের ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫৭০ মানুষ বন্যাদুর্গত।

বন্যার পানিতে ৩২৫টি বাড়ি ভেসে গেছে। বন্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভূমিধস। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে ধসের খবর। শুক্রবার ধসের কবলে পড়েছে কামাখ্যা পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তাও।

ধসের কারণে রেল ও সড়ক পথেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। শুধু আসাম নয়, ধসের ফলে মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরারও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সোমবার ত্রিপুরার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয় বলে জানা গেছে। রাজধানী আগরতলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ।


আরো সংবাদ



premium cement