২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনে রহস্যময় রোগে আক্রান্ত মার্কিন কূটনীতিকরা

চীনে রহস্যময় রোগে আক্রান্ত মার্কিন কূটনীতিকরা - সংগৃহীত

রহস্যময় রোগে ভুগছেন এমন উদ্বেগে চীনের গুয়াংঝু থেকে একদল কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কর্মীরা যে ধরনের ব্রেন ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এই রোগটির তার অনুরূপ বলে বুধবার জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওই শহরটিতে সরকারি এক কর্মী ‘অসুস্থতায় ভুগছেন’ এটি নিশ্চিত করার পর গুয়াংঝু কন্স্যুলেটের কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পরীা করতে সেখানে একটি টিম মোতায়েন করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত পরীক্ষার যে ফলাফল পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে তাদের রোগ লক্ষণ ও সাথে পাওয়া আনুষঙ্গিক তথ্যগুলো আরো যাচাই ও ব্যাপকভাবে পরীা করতে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে এসেছে মন্ত্রণালয়’। তিনি আরো বলেন, ‘যে লণগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলোর কারণ শনাক্ত করতে চিকিৎসকেরা সব ধরনের পরীা চালিয়ে যেতে থাকবেন এবং ফলাফলগুলো আগে আক্রান্ত সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে যা লক্ষ্য করা গেছে সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না বা পুরোপুরি সম্পর্কহীন তা যাচাই করে দেখবেন।’

বুধবার নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, চীনে অদ্ভুত শব্দ শোনার পর অসুস্থবোধ করা অন্তত দুই আমেরিকানকে ফিরিয়ে এনেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ জন সরকারি কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ওই বিশেষে লণগুলো প্রকাশ পেয়েছিল, মস্তিষ্কের হালকা আঘাতজনিত জখমের সাথে যেগুলোর মিল ছিল। হাভানার মার্কিন দূতাবাসের কূটনীতিকদের মধ্যে দেখা দেয়া ওই অসুস্থতা নিয়ে কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ওই অব্যাখ্যাত রোগের বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতা পরিচালনার জন্য গত মাসে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।’ আক্রান্ত ব্যক্তিরা যে জখমে ভুগছেন তার সুনির্দিষ্ট প্রকৃতি ও সব ঘটনার ক্ষেত্রে একই কারণ বিরাজ করছে কি না, তা তখনো স্থির হয়নি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন :
বৈঠকের জন্য কাতর অনুরোধ ছিল কিমের : ট্রাম্পের আইনজীবী
বিবিসি
উত্তর কোরিয়ার সাথে শীর্ষ সম্মেলন বাতিলের পর কিম জং উনের ‘কাতর অনুরোধেই’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফের বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন বলে দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি গুলিয়ানির। ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিয়ংইয়ং হাত গুটাতে বাধ্য হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইসরাইলে অনুষ্ঠিত এক বিনিয়োগ সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় গুলিয়ানি এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কিম জং উন করজোড়ে হাঁটুগেড়ে এটির (বৈঠক) জন্য অনুনয় করেছেন, এটাই সেই অবস্থান, যেখানে তাকে দেখতে চান আপনি,’।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তপে ও মস্কোর সাথে রিপাবলিকান শিবিরের যোগসাজশ নিয়ে চলা তদন্তে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন গুলিয়ানি। তার এ মন্তব্য নিয়ে তাৎণিকভাবে উত্তর কোরিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এপ্রিলের শেষে দুই কোরিয়ার শীর্ষ সম্মেলনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে কিম জং উনের বৈঠকের সম্ভাবনা দানা বাঁধতে থাকে। সপ্তাহ দেড়েক পর ১০ মে ট্রাম্প জানান, উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিমের সাথে ১২ জুন সিঙ্গাপুরে বসছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে ‘লিবিয়া মডেল’ অনুসরণ করা হতে পারে এমনটা বলার পর দুই দেশের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়।

২০০৩ সালে লিবিয়া পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করার অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও পুনঃস্থাপিত হয়। এর আট বছর পর ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহী ও আধাসামরিক গোষ্ঠীর হাতে মতাচ্যুত হন গাদ্দাফি। বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ার পর গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। বোল্টনের দেয়া লিবিয়া মডেলের উদাহরণ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে আতঙ্কিত করতে পারে বলে তখনই ধারণা করেছিলেন পর্যবেকেরা। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বোল্টনের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানালে পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেত্রে ‘লিবিয়া মডেল’ অনুসরণের কথা ভাবছেন না তারা।


আরো সংবাদ



premium cement