২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি

যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি - ছবি : সংগৃহীত

চীন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, ওয়াশিংটন বাণিজ্য অবরোধ আরোপ করলে দ্ইু দেশের মধ্যকার সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা অকার্যকর হয়ে পড়বে। চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হে ও মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রোসের মধ্যে আলোচনার পর চীন জানায়, তারা অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছে।

পাঁচ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ওয়াশিংটন অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে বলে হুমকি দেয়ার পর মি. রোস চীন সফরে গেলেন। এ দিকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করায় জি-সেভেন দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেছে। ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লা মেইর সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হবে।
বাণিজ্যের ব্যাপারে অন্য দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে বলে গত শনিবার টুইটারে মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরো বলেন, ইস্পাতের ওপর আরোপিত শুল্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত প্রস্তুতকারকদের স্বার্থ রক্ষা করবে এবং এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপসহ বিভিন্ন স্থানে মার্কিন প্রতিষ্ঠানসমূহ অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদেরকে স্মার্ট হতে হবে’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বেইজিংয়ের আলোচনার সময় চীনা কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। আলোচনায় বিশেষ কোনো ফল আসবে না জানিয়ে মার্কিন পণ্য ও সেবা ক্রয় বাড়ানোর ব্যাপারে গত মাসে ওয়াশিংটনে যে চুক্তি হয়েছিল তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওয়াশিংটন বৈঠকে পৌঁছানো ঐকমত্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুইপক্ষই কৃষি, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো যোগাযোগ করছে এবং ইতিবাচক উন্নয়ন সাধন করতে এর সাথে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া বাকি রয়েছে।’
কিন্তু চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাণিজ্যযুদ্ধের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মাঝ পথে উভয়পক্ষকে আলোচনায় বসা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘সংস্কার এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি করাই হচ্ছে চীনের জাতীয় কৌশল। আমাদের এতদিনের প্রতিষ্ঠিত ছন্দ আমরা পরিবর্তন করব না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক আরোপসহ বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে দেশ দু’টি এতদিন আলোচনার মাধ্যমে যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অগ্রগতি সাধন করেছে তা পুরোপুরি ব্যর্থ হবে।’

আরো পড়ুন :

শিলংয়ে কারফিউ উপেক্ষা করে সহিংস বিক্ষোভ অব্যাহত
এনডিটিভি
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতার জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ সহিংসতা থামাতে কারফিউ বহাল আছে।

থেম লিউ মাওলংয়ের একদল বাসিন্দা বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসের এক সহকারীকে মারধর করলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে তিন কিশোর আহত হয়। উত্তেজনা থামাতে পুলিশ ব্যবস্থা নিলে পরে তাদের সাথেও ক্রুদ্ধ জনতার সংঘর্ষ বাধে।
বিক্ষুব্ধরা শুক্রবার রাতে একটি বাড়ি ও একটি দোকান পুড়িয়ে দেয়; কারফিউ অমান্য করে চলা রাতভর সংঘর্ষে পাঁচটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আহত হন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, সংঘর্ষের মধ্যেই অন্তত ৫০০ লোককে সেনানিবাসে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার রাতেও বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘর্ষ ও পাথর নিক্ষেপের খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা এক জায়গায় পেট্রলবোমা ছুড়ে মারলেও কেউ আহত হয়নি। আগের দিনগুলোর তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শহরের বেশ কিছু এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত শিলংয়ে কারফিউ জারি করে কর্তৃপক্ষ।

একই দিন সেনাবাহিনী পতাকা বৈঠকও করে। গুজবের বিস্তৃতি রোধে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের এ রাজধানীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সান্ধ্য আইন বলবৎ থাকবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সহিংসতার সাথে জড়িতসন্দেহে এরই মধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষ মোতফ্রান, মাওখারসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে লুমদিয়েনগ্জিরি থানা ও ক্যান্টনমেন্ট বিট হাউনের আওতাধীন এলাকাগুলোতে কারফিউ জারি করে।

বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা ওই কারফিউ অমান্য করেই পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় ও পাথর নিক্ষেপ করে। আন্দোলনকারীদের দমাতে মাওখার ও মোতফ্রান এলাকার পুলিশ আন্দোলনকারীদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ও ব্যবহৃত ক্যান ছুড়ে মারে।
তিন দিন ধরে চলা এ আন্দোলনে পুলিশ সদস্যসহ একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শিলংয়ের পুলিশ সুপার স্টিফেন রিনজাহও আছেন। মাথায় রডের আঘাত পাওয়া রিনজাহকে পরে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement