ক্রিকেট

রেকর্ড গড়ে বিদায় নিলেন লিটন দাস

বার বার সুযোগ পেয়েও দলে নিজেকে মেলে ধরতে না পারেননি অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্যতম লিটন দাস। এশিয়া কাপের গত তিন ম্যাচে তিনি ১৩ রান করেছেন। আজকেও দলে আছেন তিনি। যদিও মনে করা হচ্ছিল ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার ওপেনার হিসেবে মাঠে নামবেন।  আজকের ম্যাচে লিটন দাস ওয়ানডে-তে সর্বোচ্চ ৪১ রান করে আউট হয়েছেন। এর আগে তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৬।  

ওয়ানডে ক্রিকেটে লিটন দাসের পারফর্মেন্স বলে দেয় তিনি এখনো ওয়ানডে খেলার জন্য নিজেকে গড়ে তোলতে পারেননি। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয় লিটন দাসের। আজকের ম্যাচ বাদ দিলে এখন পর্যন্ত ১৫ টি ম্যাচ খেলে সেঞ্চুরি বা হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। মোট রান ১৭৮। ব্যাটিং গড় মাত্র ১২ দশমিক ৭১। এমন একজন ব্যাটসম্যানকে আর কতবার নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ দেয়া হবে।

অন্যদিকে, সৌম্য সরকারের ওয়ানডে গড় রান ৩৪ দশমিক ৫১। মুমিনুলের গড় রান ২৩। যদিও সম্প্রতি সবাই নিজেদের প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন।

আরো পড়ুন : বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান লড়াই আজ
ক্রীড়া প্রতিবেদক 
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান দ্বিতীয় লড়াই আজ। উদ্দীপনা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। মাত্র এক দিন আগেই আফগানদের কাছেই হারের দগদগে ঘা এখনো শুকোয়নি লাল-সবুজদের হৃৎপিণ্ডে। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেবে পাহাড়ি দেশটি, নাকি সবুজ শ্যামল বাংলার দামাল ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াবে। আজ আবুধাবিতে বাঁচা মরার লড়াইয়ে মাশরাফি বাহিনী চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারেন আফগানদের।

লড়াই করার যে মানসিকতা প্রয়োজন, সেটি তো আগেই হারিয়েছে বাংলার টাইগাররা। তামিমের ইনজুরি, মুশফিকের ব্যথানাশক ওষুধ নিয়ে খেলা, ওপেনিংয়ে সমস্যা। নুতন করে যোগ হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে মাশরাফির দূরত্ব। অধিনায়ককে না জানিয়েই ইমরুল এবং সৌম্যকে ডেকে পাঠানো। মাশরাফি আছেন বলেই অনেকে ভিন্ন রকম স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। অধিনায়কও আশ্বস্ত করলেন, ‘টিকে থাকা সম্ভব’।

বাংলাদেশ শিবিরের মানসিক অস্থিরতার বিপরীতে আফগান শিবিরে সেনাদের মনোবল পাহাড়ের মতোই অটুট ও চাঙ্গা। তারা ফাইনালের স্বপ্ন বুনেই রেখেছে। বাংলাদেশকে কোনো রকম পাত্তা না দিয়েই তুলে নিয়েছে জয়। এ জয় এশিয়া কাপে উদ্দীপনার দিক থেকে এগিয়েই রইল তারা। বিষয়টি বুঝতে কোনো বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন পড়ে না। আফগান অধিনায়ক তাই বলতেই পারেন, ‘আমরা ফাইনালে যেতে চাই’।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৭ রানের দারুণ জয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু মাশরাফিদের। এরপরই যেন দিক ভুলে গেছে মাশরাফি বাহিনী। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারের পর ভারতের বিপক্ষেও অসহায় আত্মসমর্পণ। এ হারে এশিয়া কাপে কোণঠাসা অবস্থা। টানা দুই হারে আত্মবিশ্বাসে টান পড়ার জোগাড় হয়েছে, তার ওপর শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকতে পরের দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষাই বটে।

আগের দুই ম্যাচের মতো ভারতের বিপক্ষেও হাসেনি লিটন কুমারের ব্যাট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ০, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ রান করা লিটন এ দিন ফিরেছেন ৭ রানে। তামিমের ইনজুরিতে দলে সুযোগ পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্তও পারেননি আস্থার প্রতিদান দিতে। ফিরেছেন ৭ রানে। মোহাম্মদ মিথুনও পারেননি ঢাল হতে। এমন ব্যাটিং লাইন আপ নিয়েও মাশরাফি বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এখনো সম্ভব। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছে। আমাদের এখনো টুর্নামেন্টে ফেরার সুযোগ আছে। একটা ভালো দিনে আফগানদের সাথে ম্যাচে যদি আমরা জিততে পারি, তাহলে ৫০ : ৫০ চান্স থাকবে, এরপর পাকিস্তানের সাথে ম্যাচে।’ এ দিকে সুপার ফোরের অন্য ম্যাচে আজ মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান।

 

 

আরো সংবাদ