ক্রিকেট

এতটাই অধঃপতন হাতুরাসিংহের দলের?

কী হলো শ্রীলঙ্কার! এতটাই অধঃপতন হাতুরাসিংহের দলের? পরাজয় থাকবেই। তাই বলে ব্যবধান এত বেশি। লড়াইও করতে পারে না এখন তারা। বিস্মিত করেছে তারা। ২৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে অলআউট হয় তারা ১২৪ রানে। হারল ১৩৭ রানে। কাল আফগানিস্তানের বিপক্ষেও তাদের ব্যাটিং বিপর্যয় এবং ১৫৮ রানে অলআউট হয়ে ৯১ রানে পরাজয়। দুই ম্যাচ খেলে গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ না জিতে এশিয়া কাপ থেকেই বিদায় নিলো দলটি। অন্য দিকে একটি করে ম্যাচ জিতে আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশও উঠে গেল দ্বিতীয় পর্বে। আফগানদের সাথে ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। তা হবে নিছক আনুষ্ঠানিকতা। 

আসলে শ্রীলঙ্কার টিম স্পিরিটে যথেষ্ট ঘাটতি দেখা গেছে। বোলিং, ব্যাটিং। সর্বত্রই ছিল তারা প্লানহীন। আফগানদের বিপক্ষে সূচনায় বেশ গুছানোই ছিল। কিন্তু একটু দেখেশুনে খেলে আফগানরা ঠিকই নিজেদের স্কোর বের করে নেন। প্রথম ব্যাটিং করে ২৪৯ রান করেছিল তারা। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা তেমন চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছিল না। শ্রীলঙ্কা ইতঃপূর্বে যে ক্রিকেট খেলে আসছে, তাতে এ টার্গেট নেহাত কমই। কিন্তু লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা যে ছন্দে নেই তার আরেকবার প্রমাণ মিলল। অবশ্য আফগানদের বোলিং লাইনও বেশ গোছালো। আবুধাবিতে বহু ম্যাচ তারা খেলেছে। ফলে কিভাবে কী করতে হবে সেটা তাদের ভালোই জানা। এতে করে চেনা কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কাকে তারা সহজেই আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে। তা ছাড়া আফগানদের বোলিং লাইনও বেশ শক্তিশালী। দুই স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন। ফলে এ দুই বোলারের ভারটা হয়তো আর নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তারা ৪১.২ ওভারেই। 

আফগান ইনিংসে রহমত শাহ, ইহসানুল্লাহ, হাসমতুল্লাহ ও মোহাম্মাদ শেহজাদের ইনিংসের ওপর ভর করে ওই স্কোর সংগ্রহ করেছিল তারা। লঙ্কান স্পিন, পেস সব কিছুই তারা সামাল দেয় দক্ষতার সাথে। তবে এদের মধ্যে সলিড খেলেছেন রহমত শাহ। মিডল অর্ডারে ৯০ বল খেলে সংগ্রহ করেন তিনি ৭২ রান। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি চারের মার। ইনিংসে এ একটাই হাফ সেঞ্চুরি। এ ছাড়া ইহসানুল্লাহর ৪৫ রান উল্লেখযোগ্য। তিসারা পেরেরা শেষের দিকে অনেকটা ভীতি ছড়িয়ে নেন পাঁচ উইকেট ৫৫ রানে। 

এরপর ২৫০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা সূচনায় হারিয়ে ফেলে ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে। মুজিবের বলে লেগ বিফোর তিনি। এরপর থারাঙ্গা ও ধ্যানাঞ্জয়া মিলে কিছুটা ভালো খেলার চেষ্টা করেও পারেননি। ৫৪ রানের পার্টনারশিপ খেলে রান আউট হয়ে যান ধ্যানাঞ্জয়া। এরপর কুশল পেরেরা ও থারাঙ্গা ভালো খেলতে থাকলেও রশিদ খানের ছোবল এড়াতে পারেনি পেরেরা। বোল্ড হয়ে যান ১৭ রান করে। কিছুক্ষণ পর আউট থারাঙ্গা গুলবাদিনের বলে। এই শুরু। এটা চলে অনবরত। লঙ্কা বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু আফগান বোলারদের সামনে আর দাঁড়াতে পারেনি সেভাবে। ফলে অলআউট হয়ে যায় তারা ১৫৮ রানে। এতেই ওই বড় পরাজয়। থারাঙ্গার ৩৬ রান ইনিংস সেরা। অবাক করার মতো ঘটনা। দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার একজন ব্যাটসম্যানও হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেনি। আফগানদের বোলারদের মধ্যে মুজিব, রশিদ খান, গুলবাদিন ও মোহাম্মাদ নবি প্রত্যেকে লাভ করেন দু’টি করে উইকেট। রহমত শাহ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

আরো সংবাদ