২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেয়েকে অপহরণের দায়ে মায়ের জেল

মেয়েকে অপহরণের দায়ে মায়ের জেল - সংগৃহীত

ব্রিটিশ নারী ইন্ডিয়া ফোর্ড স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর একজন আমেরিকানকে বিয়ে করেন এবং তার সাথে আলাস্কাতে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন।

সেইসাথে নিজের দুই সন্তানকেও তিনি আলাস্কায় নিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু সেজন্য তিনি বেছে নেন নিজ সন্তানদের অপহরণের বুদ্ধি।

এরপর ফোর্ড তাদের নিয়ে যায় সিটকাতে। সেটা ২০১৫ সালের অক্টোবরের কথা।

৩৪ বছর বয়সী ওই নারী স্বীকার করেছেন, তিনি তার দুই শিশু সন্তানকে অপহরণ করেছেন এবং তাদের আলাস্কা নিয়ে গেছেন নিজের নতুন সঙ্গীর সাথে বসবাসের জন্য।

কিন্তু এর কিছুই জানতেন না বাচ্চাদের বাবা, তার অনুমতিও নেয়া হয়নি।

ফোর্ডকে এই অপরাধের জন্য তিনবছর ছয়মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেয়া হয়েছে।

প্রায় ১০ বছর আগে বাচ্চাদের বাবার সাথে সাক্ষাত হয়েছিল ইন্ডিয়া ফোর্ডের। তাদের ঘরে দুই কন্যা সন্তান হয়। তবে স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০১২ সালে।

তখন ডার্টফোর্ডের এক পারিবারিক আদালত রায়ে বলেছিল, বায়োলজিক্যাল বাবা-মাকে এই দুই শিশুর দায়িত্ব পালন করতে হবে।

শুনানিতে আদালত বলে, বাবা-মাকে মেয়েদের একজনের পাসপোর্ট সংরক্ষণ করতে হবে। ফোর্ড তখন দ্বিতীয় সন্তানের পাসপোর্ট 'হারিয়ে গেছে' উল্লেখ করে একটি নতুন পাসপোর্ট তোলেন।

তিনি এরপর একজন মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেন এবং পরের বছর শিশুদের আলাস্কা নিয়ে যাওয়া হয় । সেটা ছিল পারিবারিক আদালতের রায় এবং ভরণপোষণ সংক্রান্ত আদেশের লঙ্ঘন।

এরপর বাচ্চাদের বাবা আদালতের দ্বারস্থ হন তার সন্তানদের ফিরে পাওয়ার দাবিতে।

পরবর্তীতে ফোর্ডকে গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়।

বাচ্চারা এখনো তাদের সৎ বাবার সাথে আলাস্কাতে আছে।

মেয়ে হত্যার দায়ে পিরোজপুরে সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
পিরোজপুর সংবাদদাতা, ৩১ জুলাই ২০১৬,রবিবার

সৎ মেয়েকে হত্যার দায়ে মরিয়ম (৪০) নামের এক গৃহবধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। সাজাপ্রাপ্ত মরিয়ম বেগম জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার বিষ্ণুকাঠি গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। আদালত মরিয়মকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

আদালত ও মামলার বাদি সূত্রে জানা গেছে, আলমগীরের প্রথম স্ত্রী মারুফা বেগমের একটি কন্যা (আফিফা) সন্তান জন্মের পর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে আলমগীর হোসেন একই উপজেলার সোহাগদল গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে মরিয়ম বেগমকে বিয়ে করেন।

কিছুদিন পর মরিয়মের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তবে আলমগীরের প্রথম স্ত্রীর সন্তান আফিফা (৭) তার সৎ মায়ের কাছেই থাকত। মা হারা আফিফাকে তার বাবা বেশি ভালোবাসায়, সৎ মা মরিয়ম প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ওঠেন। সে জন্য ২০১০ সালের ২৩ জুন পাশের বাড়ির বাগানের একটি পুকুরের পানিতে চুবিয়ে আফিফাকে হত্যা করেন মরিয়ম।

এই ঘটনায় আলমগীর বাদি হয়ে পরের দিন নেছারাবাদ থানায় স্ত্রীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি মরিয়ম সৎ মেয়েকে হত্যার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেন। দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর পর আদালত রোববার দুপুরে মামলার এ রায় ঘোষণা করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মোঃ আলাউদ্দিন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আহসানুল কবির বাদল।


আরো সংবাদ



premium cement