১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকার প্রেক্ষাগৃহ এখন কলকাতার দখলে

-

আমাদের বাংলাদেশী ছবির দর্শক বেশি। কিন্তু এখন আমরা বাংলাদেশী কনটেন্ট পাচ্ছি না। তাই কলকাতার ছবি চালাচ্ছি। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ ফল নেই বলে জানিয়েছেন, স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (বিপণন) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আসে শাকিব খানের ‘পাসওয়ার্ড’ ও ‘নোলক’ এবং স্পর্শিয়ার আবার ‘বসন্ত’। এক মাস পর ৫ জুলাই মুক্তি পায় নিরব অভিনীত ‘আব্বাস’। জুলাই মাস শেষ হতে চললেও এর মধ্যে আর নতুন কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। তাই এখন দেশীয় ছবিশূন্য প্রেক্ষাগৃহ। আর এ কারণে হলগুলো দখল করেছে কলকাতার চলচ্চিত্র। ২৮ জুন বাংলাদেশে দেবের ভোকাট্টা মুক্তি পায়। গত দুই সপ্তাহে এসেছে জিতের ‘শুরু থেকে শেষ’ ও দেবের ‘কিডন্যাপ। দর্শকশূন্য থাকলেও এগুলোই এখন চালাচ্ছেন হল মালিকেরা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ ঘুরে এমনটাই দেখা গেল। আর হল কর্তৃপক্ষ জানালেন, এগুলো চালানো ছাড়াও উপায় নেই।
ছন্দ-আনন্দ প্রেক্ষাগৃহের নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘শাকিব খানের ছবি ভালো চলে। কিন্তু তার ছবিও এখন কম আসছে। তাই আমাদের উপায় নেই। তার পরও একটি প্রেক্ষাগৃহে (ছন্দ) সব সময় পুরনো ছবি চলে। অপরটিতে (আনন্দ) নতুন ছবি চালানোর চেষ্টা করি।’ গত ঈদের আগেই দু’টি ভারতীয় বাংলা ছবি আমদানি করেছিলেন বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া। এর মধ্যে ‘কিডন্যাপ’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল গত ১২ জুলাই। মোটেও দর্শক টানতে পারেনি সিনেমাটি। এরপর ১৯ জুলাই মুক্তি পেয়েছে জিৎ-কোয়েল অভিনীত ‘শুরু থেকে শেষ’ ছবিটি। এ ছবিরও তেমন সাড়া শব্দ নেই। গত বছরের জুলাই-আগস্টে মুক্তি পেয়েছিল তিন ভারতীয় বাংলা ছবি ‘সুলতান’, ‘ভাইজান এলো রে’ ও ‘ফিদা’। অনেক প্রচারণা চালালেও ঢাকাই সিনেমার বাজারে সুবিধা করতে পারেনি সেই ছবিগুলো।

 


আরো সংবাদ



premium cement