২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো পয়লা বৈশাখ

-

পয়লা বৈশাখের দিন সকাল ৮টা থেকেই রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে হয় লোকারণ্য। শাহবাগ মোড় পেরিয়ে চারুকলার পথটিতে মানুষ আর মানুষ। দোয়েল চত্বর, টিএসসি হয়ে দল বেঁধে আসেন শিক্ষার্থীরা। পুরো এলাকা যেন জনসমুদ্র। অনুষদের ভেতরে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছিল। বাইরে অপেক্ষা করছিল অসংখ্য মানুষ।
সকাল ৯টায় শুরু হয় আনন্দযজ্ঞ, মঙ্গল শোভাযাত্রা। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার মিলনমেলা। ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’ সেøাগানে ১৪২৬ সনের বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো: আখতারুজ্জামান। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল পুরো এলাকা। শোভাযাত্রায় নিয়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানে সবকিছুই। ঢাকঢোলের বাদ্যি আর তালে তালে তরুণ-তরুণীদের নৃত্য, হইহুল্লোড় আর আনন্দ-উল্লাস মাতিয়ে রেখেছিল পুরো শোভাযাত্রা।
চারুকলা ও ছবির হাটের মধ্যবর্তী জায়গা থেকে এগিয়ে যায় শোভাযাত্রা। সামনেই ছিল মূল শিল্পকাঠামোগুলো। এবার শোভাযাত্রার শিল্পকাঠামোগুলোর মূলটিতে বাঘের মুখ থেকে কাঁটা তোলার চিরায়ত গল্পটি উপস্থাপিত হয় বাঘ ও বকের অনুষঙ্গে। মঙ্গলের বার্তা নিয়ে ছিল প্যাঁচা। সমৃদ্ধির কথা বলছে ছাগল আর সিংহের সমন্বয়ের বিশেষ মোটিফ। লোকজ ঐতিহ্যের চিত্র মেলে ধরে গাজির পটের গাছ। এ ছাড়া অনুষঙ্গের মধ্যে ছিল দুই মাথা ঘোড়া, দুই পাখি, কাঠঠোকরা, পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় সওয়ার মানুষ। মানুষের হাতে ছিল রঙ-বেরঙের পাখা, সরাচিত্র, বাদুড়, টিয়াসহ নানা জাতের পাখি। মুখে নানা আকৃতির মুখোশ। হর্ষধ্বনি দিয়ে এগিয়ে চলে শোভাযাত্রা। গলা ছেড়ে ধরে গান, ‘এসো হে বৈশাখ’।
শোভাযাত্রার পুরো পথে সিসিটিভি ক্যামেরা আর পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেনি। কারণ, চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে মানবশিল্ড গঠন করা হয়েছে। ছিল মুখোশ ও ভুভুজেলা ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। নিরাপত্তার জন্য রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় কেন্দ্রীয় রাস্তা বন্ধ ছিল শোভাযাত্রার জন্য। শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় থেকে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে টিএসসি যায়। চারুকলার সামনে এসে শেষ হয় যাত্রা।
বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। মিলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুরুতে চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ছিল না। তখন এর নাম ছিল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ১৯৯৬ সালে এর নাম হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বছর বছর বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ হতে থাকে আয়োজনটি, বর্ষবরণের অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
বর্ষবরণ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা চারুকলায় ১৯৮৯ সালে শুরু হলেও এর ইতিহাস আরো কয়েক বছরের পুরনো। ১৯৮৫ বা ১৯৮৬ সালে চারুপীঠ নামের একটি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র আয়োজন করে।


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ

সকল