২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এলএনজি যুক্ত না হওয়ায় শীতে গ্যাস সঙ্কটের আশঙ্কা

-

জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু তা থেকে তিতাস গ্যাস সিস্টেমে কোনো গ্যাস আসছে না। এর ফলে রাজধানীতে গ্যাসের চাহিদা বাড়লেও সঙ্কট কাটছে না। সাধারণত শীতে গ্যাসের সঙ্কট বাড়ে। এবার শীত আসার আগেই অনেক এলাকায় গ্যাস সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আসন্ন শীতে সঙ্কট আরো তীব্র হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
গত জুন মাসে জাতীয় গ্রিডে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি যোগ হয়। পর্যায়ক্রমে যোগ হয় আরো ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। পেট্রোবাংলা থেকে তিতাস পায় প্রতিদিন এক হাজার ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এখান থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দিতে হচ্ছে পিডিবিকে। সেই গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে ঘোড়াশাল, সিদ্ধিরগঞ্জসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এ ছাড়া সার কারখানার জন্য তিতাস থেকে নেয়া হচ্ছে প্রায় আরো ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে বর্তমানে প্রতিদিন মোট উৎপাদিত হচ্ছে দুই হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। তিতাসেই এখন গ্যাসের চাহিদা প্রতিদিন দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের ওপরে।
জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়া ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস সিস্টেমে। এ ছাড়া যাচ্ছে বাখরাবাদ ও জালালাবাদ গ্যাস সিস্টেমে। কিন্তু তিতাস গ্যাস সিস্টেমে নতুন করে কিছুই যোগ হয়নি। এ বছর ডিসেম্বর নাগাদ প্রতিদিন আরো ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি যোগ হবে। তখনো তিতাসকে বাড়তি গ্যাস দেয়া হবে কি না, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
তিতাস গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গ্যাসসঙ্কটও বেড়েছে। আগামী শীত মওসুমে রাজধানীর গ্যাসসঙ্কট মেটাতে হলে এলএনজির ওপর নির্ভর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসের দিকে আরো ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা রয়েছে। এরপর আরো এক হাজার মিলিয়ন এলএনজি আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই এলএনজি এলে তা তিতাসে যুক্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement