২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি; ৩৭ বাংলাদেশীর সলিল সমাধি

- ছবি : সংগৃহীত

লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার সমুদ্রসীমায় সাগরে নৌকা ডুবে যে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ৩৭ জনই বাংলাদেশি। শনিবার তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সংবাদটি নিশ্চিত করেছে।

এদের মধ্যে সিলেটের ১৫ জন বলে গেছে। এদের মধ্যে সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জসহ নিহত ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। 

ওই দুর্ঘটনায় জীবিত বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা রেড ক্রিসেন্টকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জুয়ারা থেকে একটি বড় নৌকায় করে তারা যাত্রা করেন। কিন্তু পরে তাদের ছোট একটি নৌকায় স্থানান্তর করা হলে সেই নৌকাটি তিউনিসিয়ার কাছাকাছি এসে ডুবে যায়।

তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় জারজিস শহরে রেড ক্রিসেন্টের একজন কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, একটি ছোট ফোলানো নৌকায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্থানান্তর করা হয়। এতে অতিরিক্ত লোক বোঝাই হয়ে যাওয়ায় মাত্র ১০ মিনিট মধ্যেই নৌকাটি ডুবে যায়।

মঙ্গি স্লিম বলেন, নৌকাটিতে প্রায় ৭৫ জন আরোহী ছিলেন। তাদের সবাই পুরুষ। তাদের মধ্যে ৫১ জনই বাংলাদেশি। এসময় সাগরে মাছ ধরতে থাকা জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে তাদের জারজিসের উপকূলে নিয়ে আসেন।

স্লিম বলেন, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা তাকে জানিয়েছেন তারা সমুদ্রের ঠাণ্ডার মধ্যে আট ঘণ্টা থাকার পর জেলেরা তাদের দেখতে পায় এবং তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ডকে খবর দেয়।

উদ্ধারকৃত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ওই নৌকায় আরোহী সবাই পুরুষ ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও তিনজন মিশরীয়, কয়েকজন মরক্কান, চাদ ও আফ্রিকা বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিলেন।

রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন শিশুসহ ১৪ জন বাংলাদেশি রয়েছে।

স্লিম বলেন, যদি জেলেরা এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের না দেখতেন তাহলে কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা যেত না এবং আমরা নৌকাডুবির খবর জানতেও পারতাম না।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে লিবিয়া থেকে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে অন্তত ১৬৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement