২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাফতার বাহিনীকে হটাতে ত্রিপোলিতে বাড়ি বাড়ি লড়াই, বিদেশী বিমানের হামলা

হাফতার বাহিনীকে হটাতে ত্রিপোলিতে বাড়ি বাড়ি লড়াই বিদেশী বিমানের হামলা - সংগৃহীত

রাজধানী ত্রিপোলি অভিমুখে হামলাকারী বিদ্রোহী কমান্ডার খলিফা হাফতারের বাহিনীকে পিছু হটিয়ে দিতে রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে রোববার বাড়ি বাড়ি লড়াই চলেছে। ত্রিপোলির জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল এলায়েন্স (জিএনএ) সরকারের বাহিনী লড়াইয়ের পর কিছু জায়গা দখল করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই লড়াই চলার মধ্যে ত্রিপোলিতে বিদেশী যুদ্ধ বিমানের হামলা হয়েছে। হাফতারের অনুরোধে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরকারি সেনারা জিন্স ও টি-শার্টয়ের ছদ্মবেশে পরিত্যক্ত বাড়িগুলোতে অবস্থান নিয়ে হাফতারের এলএনএ যোদ্ধাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় তারা বিমানবিধ্বংসী কামান ব্যবহার করেন। কারণ সেখানকার সরু গলির কারণে সেখানে ট্রাকে করে ওই কামান বহন করা সম্ভব নয়।

পূর্বাঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মিত্র হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএএন) তিন সপ্তাহ আগে ত্রিপোলি দখলের জন্য হামলা শুরু করে। কিন্তু তারা নগরী প্রতিরক্ষা ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে। দুই পক্ষের প্রচণ্ড সংঘর্ষে এ পর্যন্ত আড়াই শ’রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। রয়টার্স জানায়, ত্রিপোলি সরকারের মিত্র বাহিনী ত্রিপোলির আইন যারা এলাকার প্রায় দেড় হাজার মিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে। নগরীর অন্য দিকের রনসীমা অপরিবর্তিত রয়েছে তবে মাঝে মধ্যে এর পরিবর্তনও হচ্ছে।

ত্রিপোলি বিমানবন্দর নিয়ে লড়াই
ত্রিপোলি বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিমানবন্দরটি এখন এলএনএ বাহিনীর দখলে রয়েছে। পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটির অপরিসীম কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। ত্রিপোলি সরকার এটি পুনর্দখল করতে পারলে তারা হাফতার বাহিনীর রশদ সরবরাহের যোগাযোগ পথ বিচ্ছিন্ন করে দিতে সক্ষম হবে। 

বিদেশী বিমানের হামলা
জে: খলিফা হাফতারের অনুরোধে বিদেশী যুদ্ধবিমানগুলো লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির কেন্দস্থলে হামলা চালিয়েছে। লিবিয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার রোববার রাজধানী ত্রিপলির দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডার জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনীর সাথে ঘরে ঘরে লড়াই চলার মধ্যে এই বিমান হামলা চালানো হলো। পূর্ব লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মিত্র হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) তিন সপ্তাহ আগে ত্রিপলিতে হামলা চালায়। কিন্তু শহরটির প্রতিরক্ষা ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। হাফতারের বাহিনীর এ হামলার কারণে লিবিয়ায় শান্তি স্থাপনে জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

বৃহত্তম তেলক্ষেত্রে হামলা
আনাদোলু জানায়, সশস্ত্র বন্দুকধারীরা সোমবার লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দেশটির বৃহত্তম তেলক্ষেত্র এল-শারারায় হামলা চালিয়েছে। তবে কেউ এতে হতাহত হয়নি। লিবিয়ার নিরাপত্তা সূত্র এ কথা জানিয়েছে। হামলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল নস্বর ১৮৬ স্টেশনটি। তেল স্থাপনাটির প্রধান স্টেশন। দেশটির পূর্ব লিবিয়ার নিয়ন্ত্রণকারী খলিফা হাফতারের বাহিনী এ হামলা চালায় বলে বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এল-শারারা তেলক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন তিন লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল উত্তোলন করা হয়, যা দেশটির মোট তেল উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ। লিবিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি অশোধিত তেল মজুদ রয়েছে। কিন্তু মুয়াম্মার গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতি ও নিহতের পর ২০১১ সাল থেকে সংঘর্ষ ও সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তেল রফতানি কমে গেছে।

সূত্র : আলজাজিরা ও রয়টার্স


আরো সংবাদ



premium cement