২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লিবিয়ার রাজধানী দখলের ডাক দিলেন খলিফা হাফতার

- ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি এক ভিডিওতে দেখা গেছে লিবিয়ার এক সশস্ত্রগোষ্ঠীর নেতা খলিফা হাফতার রাজধানী ত্রিপোলি দখলের ডাক দিচ্ছেন। লিবিয়ার আরেকটি শহর ঘারয়ান দখল করার কয়েক ঘণ্টা পরই পাওয়া যাচ্ছে এমন সংবাদ।

বর্তমানে লিবিয়ায় ক্ষমতায় রয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি সরকার। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এই সরকারের কাছ থেকে রাজধানী ত্রিপোলি'র দখল ছিনিয়ে নেবার কথা জানান খলিফা হাফতার।

দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনকালে হাফতার ছিলেন সেনাকর্মী। কিন্তু সেই সরকার পতনের পর তিনি একে একে সংগঠিত করতে থাকেন দেশের ভেতর মাথা চাড়া দিতে থাকা একাধিক সশস্ত্রগোষ্ঠীকে। বর্তমানে লিবিয়ায় অন্যতম ক্ষমতাশালী ব্যক্তি এই হাফতার, যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিভিন্ন সশস্ত্রগোষ্ঠী।

২০১১ সালের অস্থিরতার পর থেকে এখনও লিবিয়ায় নেই কোনো স্থায়ী সরকার। সম্প্রতি সেখানের অবস্থা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। উল্লেখ্য, বর্তমানে গুতেরেস সরকার ও হাফতারের মধ্যে সংলাপ স্থাপনের উদ্দেশ্যে ট্রিপোলিতেই অবস্থান করছেন।

হাফতারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কিছু সময় আগেই রাজধানী ত্রিপোলি থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরের শহর ঘারয়ানের দখল নেয় হাফতারের সৈন্যরা।

সশস্ত্র অভ্যুত্থানই কি সমাধান?
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস একটি টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে লিবিয়ায় শান্তি আসবে না। এই সময়ে প্রয়োজন সংলাপ ও সংযম।

কিন্তু ২০১১ সালে তৎকালীন গাদ্দাফির সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে তেল-ব্যবসার ঘাঁটি এই দেশ দখলের উদ্দেশ্যে তৎপর হতে থাকে একাধিক শক্তি।

হাফতারের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সশস্ত্রবাহিনী সরকারবিরোধী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এপ্রিল মাসের শেষে জাতিসংঘের উদ্যোগে একটি বৈঠক হবার কথা, যেখানে লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসবেন সব পক্ষের প্রতিনিধিরা।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে।


আরো সংবাদ



premium cement