২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইউটিউবে চলছে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা

- ছবি : সংগৃহীত

প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাপী পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতা। এরই অংশ হিসেবে মরক্কোর ‘সুলতান আল-তালাবা’ অ্যাওয়ার্ড খ্যাত তৃতীয় আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৯ দেশের প্রতিযোগিরা ইউটিউবের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন।

এ পদ্ধতিতে সুলতান আল-তালাবা আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বে বিশ্বের ১৯ দেশের ৪০০ প্রতিযোগী তাদের পছন্দমতো আয়াতের তেলাওয়াত ভিডিও করেন। ভিডিও করা সে তেলাওয়াত ইউটিউবে আপলোড করে প্রতিযোগিতার আয়োজকদের কাছে ইউটিউব লিংক পাঠিয়েছেন।

কুরআন প্রতিযোগিতার বিচারক কমিটি আগ্রহী প্রতিযোগীদের পাঠানো ভিডিওগুলো শুনবেন এবং চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারীদের নাম ঘোষণা করবেন।

আগামী ২৭ এপ্রিল চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করতে প্রতিযোগীরা মরক্কোর তাম্মারা শহরে উপস্থিত হবেন।

এ প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির প্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা আবদুল ফাত্তাহ আল ফারিসি এ ব্যাপারে বলেন, এবার আন্তর্জাতিক এই কুরআন প্রতিযোগিতাটি এবার আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রত্যেক প্রতিযোগী শুধুমাত্র একটি বিভাগে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে শুধুমাত্র যে কোনো আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার প্রথম স্থানে উত্তীর্ণ প্রযোগী অথবা ‘সুলতান আল-তালাবা’ অ্যাওয়ার্ড কুরআন প্রতিযোগিতার বিগত পর্বের শীর্ষ স্থানে উত্তীর্ণ একের অধিক বিভাগে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, মরক্কোর এ কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ‘হাজ বাশির’ বেসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে তাম্মারা শহরের স্থানীয় কাউন্সিল এবং ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১০ বছরের শিশু থেকে ৩০ বছরের প্রতিভাবান তরুণ হাফেজরাই এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন।

আরো পড়ুন : হাতে কুরআন লিখে হুমায়ুনের রেকর্ড
আযাদ আলাউদ্দীন, বরিশাল
০৬ মার্চ ২০১৯, ২০:২৫
মাঝে মধ্যেই শোনা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কুরআন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেকর্ড হচ্ছে। কেউবা হাতে সেলাই করে কুরআন লিখছেন, কেউবা কাঠে খোদাই করে তৈরি করছেন কুরআনের পাণ্ডুলিপি। আবার বৃহত্তম বা ক্ষুদ্রতম কুরআনের বিভিন্ন প্রতিলিপি তৈরি করেও তাক লাগিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের কুরআন প্রেমিক কিছু মানুষ।

মুসলিম জনসংখ্যার দিক দিয়ে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এমন রেকর্ডের কথা শোনা যায় খুব কমই। 
বাংলাদেশের মানুষ যে ধর্মপ্রাণ নন বা তারা যে এমন কিছু করতে পারেন না, তা নয়। বরং এদেশের মানুষের স্বভাবজাত সংকোচবোধও হয়তো এর জন্য দায়ী। নইলে বরিশালের হুমায়ুন সেই ২০১০ সালে পুরো কুরআন লেখার পরও কেন সে সম্পর্কে জানতে পারেনি এ দেশের মানুষ?

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বারড়িয়া গ্রামের মানুষ মোঃ হুমায়ুন কবির সুমন। নিজ হাতে যিনি লিখেছেন পুরো পবিত্র কুরআন। অথচ তিনি মাদরাসায় পড়েননি। কিন্তু ইচ্ছাশক্তি থাকলে তাকে ঠেকিয়ে রাখা যে যায় না, তার প্রমাণ দিয়ে মাত্র তিন বছরে হাতে লিখেছেন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্ত এই কুরআন। এর জন্য অবশ্য আগে আরবি শিখে নিয়েছিলেন তিনি।

১৯৯৯ সালে এসএসসি পাস করার পর হুমায়ুন কুরআনুল কারিম লেখার উদ্দেশ্যে আরবি লেখা শিখেছেন। কিন্তু কুরআন লেখার কাজটি শুরু করেন ২০০৭ সালে। তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০১০ সালে পুরো কুরআন লেখা সম্পন্ন করেন হুমায়ুন। শুধু কুরআনের শব্দ বা বাক্য লেখা নয়, অমূল্য এই শিল্পকর্মটির পৃষ্ঠা বিন্যাস ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ক্যালিওগ্রাফিও ব্যবহার করেছেন তিনি।

বরিশালের তরুণ প্রতিভাবান হুমায়ুনের এখন ইচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতের লেখা কুরআনের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন তিনি। হুমায়ুন কবির সুমন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বারড়িয়া গ্রামের মোঃ রজব আলী শিকদারের পুত্র।বর্তমানে তিনি ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটের একটি শো-রুমের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হুমায়ুন কবির সুমন নিখুঁত, নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা পবিত্র কুরআনুল কারিমের পাণ্ডুলিপি তৈরি করায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বরিশালের আলেম, ওলামা ও ইমাম সমাজের নেতৃবৃন্দ।


আরো সংবাদ



premium cement