২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

শহরটিতে এখন যুদ্ধ-সহিংসতা নিত্যদিনের ব্যাপার

-

ক্যামেরুনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বেল্লো, এক সময় এটি ছিল একটি প্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্র, ছিল পারিবারের মতো একটি কমিউনিটি। যার নাম 'কম'। একসময় এখানে ছিল সৌহার্দ্য, আনন্দবেষ্টিত একটি পরিবেশ।

তবে সেই চিত্র বদলে গেছে। এখন সবখানেই শুধু মৃত্যুর গন্ধ। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে শতাধিক পরিবার। কাউকে আবার আশ্রয় নিতে হয়েছে দূরের কোন শহরে।

এই পরিস্থিতির পেছনে দায়ী স্থানীয় আম্বাজোনিয়া ফ্রিডম ফাইটারস দল।

ইংরেজি ভাষাভাষী ক্যামেরুনের এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টি গত কয়েক বছর ধরে একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানিয়েছে।

গ্রামের বেশিরভাগ তরুণ ভিড়ছে এই অস্ত্রধারীদের দলে।

এখন বেল্লো গ্রামের প্রতিটি কোনায় এই সেনা সদস্যদের বিচরণ করতে দেখা যায়। যার পরিণতি হয় বেশ ভয়াবহ।

শহরটিতে এখন যুদ্ধ-সহিংসতা এই শহরে যেন নিত্যদিনের ব্যাপার।

তবে যুদ্ধের কারণে নৃশংসতা চলতি বছর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

বেল্লোতে এই সেনারাই সম্ভবত একটি ভিডিও ধারণ করেছিল। সেটি স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে পাওয়া যায় যিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

শহরের বিভিন্ন অংশে প্রায়শই অজ্ঞাত লাশ পাওয়া যায় একদম জ্বলন্ত অবস্থায়।

নোয়াম ফুটুঙ্গা, ৬০ বছর বয়সী ৫ সন্তানের মা বেলোতে তার পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাজধানী ইয়ন্দোতে।

যেদিন তার প্রিয় সন্তানকে তার সামনে গুলি করে হত্যা করে সেনারা। তারপর পরই তিনি ঘরছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এরপর থেকে বেল্লোর নারীরা বিভিন্ন ঘটনায় আহতদের সাহায্য করে থাকে। কারণ পুরুষরা প্রতিনিয়ত প্রাণ হারানোর আতঙ্কে থাকে।’

‘এমন অবস্থায় মেয়েরাই এখন ছেলেদের ভূমিকা পালন করছে। একসময় মরা মানুষের গন্ধে পুরো শহর গুমোট হয়ে উঠেছিল। পরে আমরা নারীরাই মাটি খুঁড়ে তাদের কবর দিয়েছি। আমাদের সম্প্রদায়ে মেয়েদের এমন কাজ করার নিয়ম ছিল না। কিন্তু উপায় না পেয়ে আমাদেরই পুরুষদের এসব দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয়েছে।’

পাশের জিনেকেজা গ্রামের চিত্র প্রায়ই একই রকম। এখানে নারীদের প্রিয়জন হারানোর শোকে বিলাপ করতে দেখা যায়।

এখানকার নারীরাও গ্রামের বিভিন্ন ধারে পরে থাকা লাশগুলোকে খুঁজে বের করে সৎকারের ব্যবস্থা করে।

এমন অনেক লাশই পাশে বয়ে যাওয়া নদীতে জোয়ারে তোড়ে ভেসে আসে। সেগুলোকে কবর দেয়ার ব্যবস্থা করেন এই নারীরাই।

অথচ 'কম' সম্প্রদায়ে মৃতদের সৎকারে নারীদের সম্পৃক্ততার কোন নিয়ম নেই। এইসব কাজের দায়িত্ব শুধুমাত্র পুরুষের।

সম্প্রদায়ের প্রিন্স মনে করেন এই কারণে এই অঞ্চলে সামনে আরে অশুভ দিন ঘনিয়ে আসবে।

‘সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য অনুযায়ী একজন নারীর এমন কাজ করার কোন সুযোগই নেই। যখন নিয়ম ভাঙ্গা হয় তখন আমাদের ওপর দিয়ে অনেক দুর্যোগ বয়ে যায়। তবে এজন্য নারীদের দোষারোপ করারও কোন উপায় নেই। কারণ যা হচ্ছে, এতে কারো কোন হাত নেই।’

ক্যামেরুনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও প্রথা রক্ষার ব্যাপারে বেশ সচেতন।

তবে সম্প্রতি এই অ্যাম্বাজোনিয়া সেনাদের কারণে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় বদলে গেছে দৃশ্যপট।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল