২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

উন্নত বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক গড়তে নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই : কৃষিমন্ত্রী

-

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। নিবার্চনী ইশতেহারে অঙ্গিকার পুরণে সরকার সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে। নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে এসডিজিতে যে অভিষ্ট লক্ষ্য দেয়া আছে সরকার তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবে। উন্নত বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক গড়তে নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী ‘ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর নিউট্রিশন সাইন্টিফিক সিম্পোজিয়াম অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সিবিশন, এগ্রিকালচার টু নিউট্রিশন পাথওয়েজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিবি) ড. মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ, জাতীয় পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক ডা. মো. শাহ নেওয়াজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফিড দা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর নিউট্রেশনের পরিচালক ড. প্যাট্রিক ওয়েব। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবি’র সিনিয়র পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবনযাপনে 'পুষ্টি' হল কেন্দ্রবিন্দু। পুষ্টি হল শরীরে খাদ্যের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যগ্রহণ। বর্তমান ও আগামী সফল প্রজন্মের জন্য এটি হল অস্তিত্বের দিশা। প্রতিদিনের শারীরিক ক্রিয়াকর্ম ও পুষ্টিকর খাদ্যের মেলবন্ধন সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি গড়ে তোলে। একটি সুস্থ শিশু তুলনামূলকভাবে বেশী ভালো শিখতে পারে। পর্যাপ্ত পুষ্টি-সম্পন্ন মানুষ তুলনামূলকভাবে বেশী সৃজনশীল। স্বল্প পুষ্টির কারণে শরীরের অনাক্রম্যতা কমে যেতে পারে, দুর্বলতা বাড়তে পারে, শারীরিক ও মানসিক বিকলঙ্গতা বাড়তে পারে এবং যেকোন ধরণের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের কৃষি খাতে যথেষ্ট পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন করছে কিন্তু মানুষের যে আয় তা দিয়ে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। আয় বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি যান্ত্রিকরণের ফলে কৃষিতে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। এখন কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির করে মানুষের আয়বৃদ্ধি করতে হবে। আয় বৃদ্ধি পেলে তখন সে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ সরকার দেশ থেকে সম্পুর্ণরুপে অপুষ্টি রোধে অঙ্গিকারাবদ্ধ।

অপুষ্টি রোধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার সবচেয়ে বেশি কার্যকরী উল্লেখ করে আইসিডিডিআরবি’র সিনিয়র পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ মূল প্রবন্ধ বলেন, বর্তমান সরকার অপুষ্টি রোধে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করায়- এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। যেমন- ২০০৭ সালে খর্বাকার (পাঁচ বছরের নিচে) শিশু ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০১৭-১৮ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩১ শতাংশে। স্বল্প ওজনের শিশু ৪১ শতাংশ থেকে কমে ২২ শতাংশ হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement