বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিতর্কিত ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৭
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধী ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আলোকসজ্জা করলেও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কোথাও কোনও আলোকসজ্জা করা যাবে না। এছাড়া অনুমতি ছাড়া বিজয় দিবসে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যালির আয়োজন করা যাবে না। আবরার হত্যা মামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় তদন্ত সংস্থা যে অভিযোগপত্র দিয়েছে তা ‘নির্ভুল হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। বৈঠকে পুলিশের আইজিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় পতাকার নির্দিষ্ট মাপ ছাড়া কোনও পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া, মলিন, ছেড়া, রঙ চটা পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। শুধুমাত্র ১৬ ডিসেম্বর যেকেউ পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। পরদিন পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে।
এদিনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকদের অনেকেই পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। তিনি বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধী ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে না। এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজয় দিবসে রাজধানীসহ সারাদেশে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, কূটনীতিকদের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্মৃতিসৌধে আনা-নেয়া করা হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা ও পরিস্থিতি এড়াতে সাভার থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকাটিও সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। যেন কোনও নাশকতা কেউ ঘটাতে না পারে। ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত কোনও তোরণ করতে দেবো না।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যালির আয়োজন করে। এসব অনুষ্ঠানের সাত দিন আগেই সংশ্লিষ্ট থানা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতে হবে। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে। ৪১১টি স্থানে ফায়ার সার্ভিস এলার্ট থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল টিম, অ্যাম্বুলেন্স থাকবে স্মৃতিসৌধসহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায়। তিনি বলেন, বিজয় দিবসের র্যালি, প্যারেডসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান স¤প্রচারের জন্য বিভিন্ন স্থানে এলইডি স্ক্রিন বসানো হবে, যেন সাধারণ মানুষ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে। সড়কপথে যান চলাচল সচল রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিজয় দিবসে জেলাখানা, হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।