২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নিরাপত্তার প্রশ্নে সচিবালয়ের গেটগুলো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

- ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকারের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। তাই নিরাপত্তার প্রশ্নে সচিবালয়ের গেটগুলো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আধুনিক স্ক্যানার বসানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলে চলতি জুলাই মাসেই ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদল সভায় অংশ নেয়।

সাংবাদিকরা পাঁচ নম্বর গেট (প্রেস ক্লাবের পাশে) দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সচিবের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে একটি উদ্যোগ নেবো। এটি কোনও কঠিন কাজ নয়। বিএসআরএফের সদস্যরা পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ যাতে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে করতে পারেন, সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নিতে চেয়েছেন মন্ত্রী। তিনি তাদের একটি তালিকা চেয়েছেন। তালিকায় যাদের নাম আসবে তাদের এ সুযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।

ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে বলে কয়েক দফা তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কবে নাগাদ ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ই-পাসপোর্টের আগে এমআরপি করেছি। আমরা ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের কাছে এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) হ্যান্ডওভার করতে পেরেছি। সারা পৃথিবীতে নতুন প্রযুক্তিতে ই-পাসপোর্ট চলে আসছে।

তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট করতে আমরা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। জার্মানির একটি খ্যাতনামা কোম্পানি পুরো প্যাকেজ হিসেবে কাজ করছে। তারা সব ধরনের কাজ গুছিয়ে এনেছেন। আমার মনে হয়, প্রতিদিনই তো খবর নিচ্ছি- জুলাইয়ের যে কোন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করতে পারবেন। যদি না হয়, এটা প্রধানমন্ত্রীর সময়ের ওপর নির্ভর করছে। কারণ এটা একটা ঐতিহাসিক জিনিস আমরা করতে যাচ্ছি। সেই জায়গাটিতে যখন যাব প্রধানমন্ত্রী সেটা উদ্বোধন করবেন। এটা প্রায় রেডি হয়ে আছে, যেকোনো সময় আমরা করতে পারবো।

অত্যাধুনিক এই ই-পাসপোর্ট একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর (মোবাইলের মেমোরি কার্ডের মতো) চিপ থাকবে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি) তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যাতে পাসপোর্টধারীর পরিচয়ের সত্যতা থাকে। ই-পাসপোর্টে মোট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডাটাবেজে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।

ই-পাসপোর্ট চালু হলে জালিয়াতি ও পরিচয় গোপন করার কাজ কঠিন হবে বলে দাবি করছে অধিদফতর। পৃথিবীর ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান জার্মানির কোম্পানি ভেরিডোসের সঙ্গে ই-পাসপোর্টের চুক্তি করেন। এরপর ডিসেম্বর মাসে পাসপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনে অধিদফতর। নির্বাচনের আগ দিয়ে প্রথম ধাপে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে (সিআইপি) ই-পাসপোর্ট দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করার কথা ছিল। সর্বসাধারণকে জানুয়ারিতে পাসপোর্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি

সকল